পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ وفاترb রাধা—তাই তো বাব!, এইবার সামলাতে পাল্লে হয় । ( নিকটে বাইয়া ) বলি, ও বড়বেী ! এত কেন ? ( সুরের সহিত ) পেট ষে ফেপে ওঠে, আর লুচি খাব না। নয়ন—( ঈষৎ ক্রোধে) আমি আজ কথা বলব না । রাধা— (স্বরের সহিত ) এই তো বাবা—বলেছ ? নয়ন—বলেছি বলেছি, আর বলব না । রাধা—( মুরের সহিত ) এই দুবার হল । নয়ন—বেশ তো, দুবার কেন তিনবার হলো । রাধা—তবে বেশ তো, চলুক-বড়দিনে আবার চলুক । নয়ন—(দুঃখিতভাবে ) তোমার বড়দিন, তোমাবই আছে, আমার কি ? রাধা—তোমার কি ? ( চিবুক ধরিয়া) বলি ও ক্ষেপি ! তোমার কি ? জগৎ তোমাব, আমি তোমাব, প্রাণ তোমার, রাধা তোমার, কান্ত তোমার। নয়ন—( আড়নয়নে চাহিয়া ) থাক, আব বলতে হবে না । জগৎ আমার, তুমি অামাব, তোমার প্রাণ আমার, এত ছেনালি করে আর জালিও না । রাধা—কেন ? তোমাব জন্যে আমি প্রাণ তো দিয়েই রেখেছি । তার উপরেও যদি কিছু থাকত, তাও না হয় দিতাম। তুমি যা ভাব তা নয়। দেখিয়ে দেও দেই কিনা ?—করি কিনা ? নয়ন—(মাথার কাপড় ফেলিয়া ঈষদ্ধাস্তে ) আচ্ছা, এখনি পরীক্ষা হোক, সুদু মুখে বল্লে চলবে না । রাধ—আচ্ছা তুমি বল, যদি না পারি শেষে অন্ত কথা । না বলতেই মুখের দোষ দিলে। এ মুখ বেদ-মুখ, যা বলব সে বেদবাক্য । নয়ন—এই কথা। তবে শোন ( রাধাকাস্তের কানে কানে প্রকাশ । ) রাধী—(বিকৃত মুখে ) এতেই এত ? ছিছি। এত তুচ্ছ কথা !!—ছি ছি, মাটি করেছ, প্রাণ মাটি করেছ, ছিছি !!! নয়ন—ন না সত্যে বলছি, বড় সক করে, এই কাপড়খানা নিয়েছি। বিশখানা কাপড় থেকে এইখানা বেছে বার করেছি। মার কাছে টাকা চাইতেই তো একেবারে খেউ খেউ করে বঁাটা হাতে করে উঠলেন । দোকানি বেট দুবার এসে, শেষ বারে ভারি কড়া কড়া কথা বলে গেছে। করি কি