পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3 e মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ সন্ন্যা—আমিও চাষার নন্দন নয়, জানিস? জাতি কৈবর্ত বামুনের বাক মারি। আমি কি কম লোকের সস্তান। আমার বাবার বাবা, যে-টাই মাছ ধরত, ঠাকুরমার মুখে শুনেছি, তা কেউ চক্ষেও দেখেনি। বাবা, রাজারহাট চেন ? সেই রাজারহাটের দক্ষিণে রানীরহাট, ঠিক বিবিরহাটের পাশেই কপীরহাট, সেই আমার পিতামহের জন্ম-মাটি, নামটাই কি যেমন তেমন —নাম হকুমান দাস । সন্ন্যাসী দাস আসল নাম নয় । মদন—এতকাল শুনলেম সন্ন্যাসী দাস, বেটা আজ বলছে হনুমান দাস । সন্ন্যা—কথাই শোন, রাগ কর কেন ? যে সন্ন্যাসী সেই হকুমান । ভিন্ন কি রে বেটা ? শোন, আমার জন্মকাহিনী শোন । আমি সন্ন্যাসীর আশীৰ্ব্বাদি ছেলে—তারকেশ্বরের মোহস্ত তখন হয় নাই, তা হলে মোহস্তের আশীৰ্ব্বাদেই হতেম । আমি হতেই মাব বেঁজ নাম, বাবার ঠাটকুড়ে নাম, কাব্য কার’ আইবড় নাম ঘুচে গেছে। তাইতে কেউ কেউ আহলাদ করে আমায় স্বাটকুড়োর নন্দন বলেও ডেকে থাকে। এই স্বাটকুড়োর নন্দন আগুনে পুড়বে না, জলে ডুববে না। বল, এখন ডুবে দেখাই । মা গঙ্গে । পতিতপাবনী মা। একবার ডুব দেই । ভূমে পতন ] রাধা—যে যা না পারে সৈতে যে না পাবে, সে ত| কেন খায় ? মদন-ও কি নিজে খেয়েছে ? আকর্ষণে টেনে নিয়েছে এই সকল তিন ঢুকে ছটাকে মাতালেই তো মদের সর্বনাশ করে ভদ্রলোকের ঘর থেকে তাডালে । এ দশা দেখলে কি আর মদের নাম শুনতে ইচ্ছা করে। ছি, ছি ! নয়ন—যাক, তা আব তুমি কি বলবে । সকলেরই ঐ দশা । ধরে রাখবার লোক থাকলেই ভদ্রলোক, না থাকলেষ্ট মাতাল । তা যা হক । আমি একে রোজের বাড়িতে রেখে আসি । রাধা—তুমি এই অন্ধকারে কোথা যাবে ? জগাকে ডেকে দিই আর না হয় আমি যাই । তুমি বাড়িতে থাক ! নয়ন—না তা হয় না, পুরুষ মাতালকে পুরুষে ঠাণ্ডা রাখতে পারে না। তুমি রাস্তায় গেলে একাকার হবে । আমি কি পাগল যে, সন্ন্যাসী দাসের সঙ্গে