এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮
মুকুট
ইন্দ্রকুমার। অসহ্য। এ জন্যে তার শাস্তি পাওয়া উচিত।
ইশা খাঁ। শুধু তাই! যুবরাজ উপস্থিত থাকতে সে কিনা নিজের ইচ্ছামতো সন্ধিপত্র রচনা করেছে।
ইন্দ্রকুমার। এর শাস্তি না দিলে অন্যায় হবে।
ইশা খাঁ। তোমার দাদাকে এই সহজ কথাটি বুঝিয়ে দাও দেখি।
রাজধরের প্রবেশ
ইন্দ্রকুমার। রাজধর! তুমি কাপুরুষতা প্রকাশ করেছ।
রাজধর। তোমার মতো যুদ্ধে ভঙ্গ দিয়ে পুরুষকার প্রকাশ করতে আমি এতদূরে আসিনি— আমি যুদ্ধ জয় করতে এসেছিলুম।
ইন্দ্রকুমার। তুমি যুদ্ধ করেছ! এবং জয় করেছ! জয়লক্ষ্মীর মুখ যে লজ্জায় লাল করে তুলেছ।
রাজধর। তা হতে পারে, সেটা প্রণয়ের লজ্জা। কিন্তু, তিনি যে আমাকে বরণ করেছেন তার সাক্ষী এই।
ইন্দ্রকুমার। এ মুকুট কার।
রাজধর। এ মুকুট আমার। এ আমার জয়ের পুরস্কার।