চলে। ও যে আমাদের মধ্যেই মানুষ সে কথাটাকে চামড়ার থেকে ঘষে ফেলতে চায়। একদিন বুঝতে পারবেন, খাপের চেয়ে তলোয়ার বড়ো হয়ে উঠলে ভালো হয় না।
২। তা যা বলিস, ভাই, বিভূতি উত্তরকূটের নাম রেখেছে বটে।
১। আরে রেখে দে, তোরা ওকে নিয়ে বড়ো বাড়াবাড়ি আরম্ভ করেছিস। ওই-যে বাঁধটি বাঁধতে ওর জিব বেরিয়ে পড়েছে ওটা কিছু না হবে তো দশবার ভেঙেছে।
৩। আবার যে ভাঙবে না তাই বা কে জানে?
১। দেখেছিস তো বাঁধের উত্তর দিকের সেই ঢিবিটা?
২। কেন কেন, কী হয়েছে?
১। কী হয়েছে? এটা জানিস নে? যে দেখছে সেই তো বলছে—
২। কী বলছে ভাই?
১। কী বলছে? ন্যাকা নাকি রে? এও আবার জিগ্গেস করতে হয় নাকি? আগাগোড়াই—সে আর কী বলব—
২। তবু ব্যাপারটা কী একটু বুঝিয়ে বল্-না—
১। রঞ্জন, তুই অবাক করলি। একটু সবুর কর্-না, পষ্ট বুঝবি হঠাৎ যখন একেবারে—
২। সর্বনাশ! বলিস কী দাদা? হঠাৎ একেবারে?
১। হাঁ ভাই, ঝগড়ুর কাছে শুনে নিস। সে নিজে মেপে-জুখে দেখে এসেছে।
২। ঝগড়ুর ওই গুণটি আছে, ওর মাথা ঠাণ্ডা। সবাই যখন বাহবা দিতে থাকে, ও তখন কোথা থেকে মাপকাটি বের করে বসে।
৩। আচ্ছা ভাই, কেউ কেউ যে বলে বিভূতির যা-কিছু বিদ্যে সব—
১। আমি নিজে জানি বেঙ্কটবর্মার কাছ থেকে চুরি। হাঁ, সে ছিল