পাতা:মুক্তি - অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তি ( প্রকাতে ) গোসাই ঠাকুর, আপনি দয়া ক’রে দিদিমণিকে একটু দেখুন, আমি মাকে ডেকে আনি। শাণ্ডি । ইঁ-ইঁ-যাও, শীগ গীর যাও, আমি ততক্ষণ এর সেবা ক’রছি । আহা বাসস্তিকা—বাসস্তিক ! শাণ্ডিল্য ! ওঠে, জাগো, সেবা কর, সেবা কর, সেবার এমন কোমল পাত্রী বহু পুণ্য-ফলে পেয়েছ ; সেবা ক’রে জীবন সার্থক কর । ( বাসস্তিকার পায়ে হাত দিয়া ) আহা । মুখখানি যে সাপের বিষে একেবারে কালো হ’য়ে গেছে । পরী। করেন কি গোসাই ঠাকুর, করেন কি ? ওটা যে দিদি মণির পা, মাথা যে আমার কোলে । শাণ্ডি । শোকে দেখতে পাচ্ছিনা, চোখে সঞ্চুষে ফুল দেখছি । মনে ক’রেছিলুম এই বুঝি মুখ । পরী । (স্বগত) চেনেনা, জানেনা—আর শোকে একেবারে চোখের মাথা খেলে । তা হবে—গোসাই মানুষ, আশ্চর্য্য কি ? এর কাছেই রেখে যাই, ছুটে যাব, আর ছুটে আসব, ( প্রকাঙ্গে ) গোঁসাই ঠাকুর, আপনি একটু দেখুন, আমি এলুম বলে । [ প্রস্থান । শাণ্ডি । আহা ! কি কোমলস্পর্শ। বাসস্তিকা—বাসস্তিকা । আর বাসস্তিকা—এই যে চোখ কপালে উঠেছে । আর নিশ্বাস こbr