रुक्कै अक । ১২৯ সৰ্ব্বজনের সমন্বক্ষ চাণক্য পদচ্যুত হয়ে, আবার সেই মন্ত্রীপদে কি করে আরূঢ় হলেন বল দিকি ? সিদ্ধা –তুমি দেখছি মুখের মত কথা কচ্চ। যে চাণক্যের বুদ্ধিকৌশল অমাত্য,রাক্ষস পর্য্যন্ত ধরতে পারে নি, তার মধ্যে তুমি প্রবেশ করতে ইচ্ছা করচ ? সমি।— আচ্ছা, অমাত্য-রাক্ষস এখন কোথায় ? সিদ্ধা —সখা, অমাত্য-রাক্ষস, সেই প্রলয়-কোলাহল বৃদ্ধি হলে মলয়কেতুর শিবির হতে নির্গত হয়ে, এই কুসুমপুরেই এসেছেন। উন্দুর নামে একজন চর বরাবর তার পিছনে পিছনে এসে এই ংবাদটি চাণক্য-ঠাকুরকে নিবেদন করে । সমি —আচ্ছ। ভাল, অমাত্য রাক্ষস নন্দরাজ্য প্রতিস্থাপন করবার উদ্দেশে বেরিয়ে, শেষে অকৃতকাৰ্য্য হয়ে, আবার এই কুসুমপুরে এলেন কেন বল দিকি ? সিদ্ধ। —সখা, আমার বোধ হয়, চন্দনদাসের মেহামুরোধে । সমি।—সত্য, চন্দনদাসের স্নেহানুরোধে ? আচ্ছা চন্দনদাস মুক্ত হয়েছে কি না তা কি জান ? সিদ্ধ। —সখা, সে হতভাগ্যের আবার মুক্তি কোথায় ? চাণক্য আমাদের দুজনকে আজ্ঞা করেছেন, “তাকে বধ্য-স্থানে নিয়ে গিয়ে বধ করবে।” সমি।--(সক্রোধে ) সখা কি আশ্চর্য্য ! চাণক্য কি আর কোন ঘাতক পেলেন না যে এই নৃশংস কার্ঘ্যে আমাদেরই নিযুক্ত করলেন ? সিদ্ধা।—জীবলোকে বাস করবার যার ইচ্ছা আছে, সে কখনই চাণক্যের আদেশ লঙ্ঘন করে না । তবে চল, চণ্ডালের > ፃ
পাতা:মুদ্রা-রাক্ষস.djvu/১৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।