পাতা:মুদ্রা-রাক্ষস.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ মুদ্রা-রাক্ষস । প্রধান পুরুষগণ যারা এখান হইতে পলায়ন করিয়া মলয়কেতুর আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন তাদের নামের সংখ্যা-পত্র। তার মধ্যে প্রথমেই গজাধ্যক্ষ ভদ্রভট্ট ; অশ্বাধ্যক্ষ পুরুষ দত্ত ; প্রধান দেীবারিক চন্দ্রভাকুর ভাগিনেস্থ হিঙ্গুরাত ; মহারাজের কুটুম্বজন মহারাজ বলগুপ্ত ; মহারাজের শৈশব-ভৃত্য রাজসেন ; সেনাপতি সিংহবল দত্তের কনিষ্ঠ ভ্রাতা ভাগুরায়ণ ; মালব-রাজপুত্র রোহিতাক্ষ ; ক্ষত্রগণ-প্রধান বিজয়বৰ্ম্ম—ইতি।” (স্বগত) প্রকৃত কথা, আমরা এই কয়জনেই মহারাজের কার্য্য সযত্বে নিৰ্ব্বাহ করচি। ( প্রকাশ্বে ) এই তো গেল পত্র – রাজা –দেখুন ঠাকুর, এদের বিরাগের হেতুগুলি আমি শুনতে ইচ্চা করি । চাণ —শোনো বৃষল আমি বলচি। ভদ্রভট্ট ও পুরুষ-দত্ত হস্তী ও অশ্বপালের অধ্যক্ষ, উভয়েই মদ্যপায়ী লম্পট ও অত্যন্ত মৃগয়াসক্ত ; তাই আমি তাদের পদচ্যুত করি। তারা আবার সেই সব পদে নিযুক্ত হয়ে মলয়কেতুর আশ্রয় গ্রহণ করেছে। হিঙ্গুরাত ও বলগুপ্ত অত্যন্ত লুব্ধ-প্রকৃতি, তারা এখানে যথেষ্ট অর্থ পাচ্ছিল না, সেখানে অধিক অর্থ উপার্জন করতে পারবে মনে করে, তারাও মলয়কেতুর আশ্রিত হয়েছে। আর তোমার শৈশব-ভূত্য রাজসেন, তোমার প্রসাদে, কোষ হস্তী অশ্ব প্রভৃতি বিপুল ঐশ্বৰ্য্য সহসা লাভ করে', পাছে আবার সে সকলের উচ্ছেদ হয়, এই আশঙ্কায় সেও মলয়কেতুর আশ্রয় গ্রহণ করেছে। অার এই যে আর একজন সেনাপতি সিংহবল-দত্তের কনিষ্ঠ ভ্রাত ভাগুরায়ণ, এর সহিত পৰ্ব্বতেশ্বরের অত্যন্ত সৌহার্দ হয়। সেই অনুরাগ-বশতঃ, বিষকরা দ্বারা