૧g মুদ্র-রাক্ষস । উপায় আছে—অনুগ্রহ আর নিগ্রহ। অনুগ্রহ হচ্চে—পদচ্যুত ভদ্রভট ও পুরুষদত্তদের স্ব স্ব পদে পুনঃস্থাপন করা। কিন্তু ওরূপ ব্যসন-দোষাক্রান্ত অযোগ্য ব্যক্তিদের যদি স্বপদে পুনঃ স্থাপন করা যায়, তাহলে সকল রাজ্যের মে মূল হস্তী অশ্বাদি, তার ক্ষয় হয়। আর, হিঙ্গুরাত ও বলগুপ্ত এই দুই জন লুব্ধপ্রকৃতির লোককে সমস্ত রাজ্য-সম্পদ দিয়ে পরিতুষ্ট করলেও তারা কখন অনুগৃহীত বোধ করবে না। রাজসেন ও ভাগুরায়ণ— এই দুই জন ধনপ্রাণ নাশের ভয়ে ভীত, এদের অনুগ্রহ করবার অবকাশ কোথায়? আর, রোহিত্যক্ষ ও বিজয়বৰ্ম্ম৷ এর নিজ কুটুম্বদের সম্মানে আপনাদের অপমানিত মনে করে। এই দুইটি অভিমানী ব্যক্তিদের প্রতি কিরূপ অনুগ্রহ করলে তবে এর প্রীত হয়, তাতো বুঝতেই পারচ । অতএব এসব স্থলে অনুগ্রহ চলে না। এখন নিগ্রহের কথা বলি শোনো। নন্দের রাজ্য-ঐশ্বৰ্য্য লাভ করেই যদি আমরা সহোথায়ী প্রধান পুরুষবর্গকে দণ্ডের দ্বারা পীড়ন করি, তা হলে নন্দকুলানুরক্ত প্রজাদের অবিশ্বাসভোজন হতে হয়। অতএব এ স্থলে নিগ্রহও চলে না। আবার আমাদের যেসকল ভূতপক্ষ শত্রুর অনুগৃহীত, তার রাক্ষসের উপদেশ গুনতেই উন্মুখ । এখন আমরা বৃহৎ ম্লেচ্ছ-রাজ-সৈন্যে পরিবেষ্টিত এবং পৰ্ব্বতক পুত্ৰ মলয়কেতু আমাদের আক্রমণ করতে উদ্যত। এ সময় আমাদের আয়াসকষ্টের সময়—উৎসবের সময় নয়। অতএব এখন আমাদের দুর্গংস্কার আরম্ভ করতে হবে—এখন কৌমুদী-উৎসবের অনুষ্ঠানে কি ফল ?—এই জন্যই উৎসব নিষেধ করা হয়েছে । রাজ -এতেও অনেক প্রশ্ন করবার অাছে।
পাতা:মুদ্রা-রাক্ষস.djvu/৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।