যে মুরলী যমুনা-পুলিনে বাজিত, এ “মুরলী” সে মুরলী নহে—তবে মুরলী-ধারীর নাম কীর্ত্তন, মহিম্নস্তব, এ সাধের “মুরলী” কতক পরিমাণে করিতে পারে। মুরলীর যাঁহার ভক্ত, তাঁহদের প্রীত্যর্থেই আমার এ “মুরলী” রব— তাহা ক্ষীণ হইলেও তাহাতে ব্যাকুলত আছে। ব্যাকুল হইয়া না ডাকিলে সাধনার ধনের সন্ধান পাওয়া যায় না। এ “মুরলী” ধ্বনি আমার আকুল আহ্বান। সে আহ্বান অন্যের ভাল না লাগিলেও আমার “সর্ব্বময়”; হয়ত একদিন তাহাতে বিচলিত হইবেন, আকৃষ্ট হইবেন—হয়ত একদিন আমার হৃদয়-বৃন্দাবনে বিহার করিবেন—আর আমি কৃতকৃতার্থ হইব। সেই শুভদিনের প্রতীক্ষায় “মুরলী” রবে আমি আপনাকে আপনি জাগাইয়া তুলিবার চেষ্টা করিতেছি। আমার স্বগণ ও অন্যান্য শক্র মিত্রও যদি আমার কর্কশ রবে জাগিয়া উঠেন, তাহা হইলে আমি অধিকতর ধন্য হইব। ক্ষুদ্র আমি আমার বলিবার শক্তি নাই—
যদি হরি স্মরণে সরসংমনো
যদি বিলাসকলাস্থ কুতূহলম্।
মধুরকোমলকান্ত পদাবলীং
শৃণু তদা জয়দেব সরস্বতীম্।