পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬ মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । বারে সে মেলা বসিয়া থাকে, কিন্তু এক্ষণে তাহা নামমাত্র হক্টর উঠিয়াছে । দর্পনারায়ণের পুত্র শিবনারায়ণ লোকের যাতায়াতের অসুবিধা নিবারণের জন্ত কিরীটেশ্বরীর পথে এক সুবৃহৎ সেতু নিৰ্ম্মাণ করাষ্টয়া দেন। অদ্যাপি তাহার চিহ্ন বর্তমান আছে । কিরীটেশ্বরীর বর্তমান পথের বৃহত্তর সেতুর নিকটে উত্তর দিকে বনজঙ্গলাবৃত হইয়৷ সেই সেতু অদ্যাপি বিদ্যমান রহিয়াছে। শিবনারায়ণের পুত্ৰ লক্ষ্মীনারায়ণ ও কিরীটেশ্বরীর সেবার অনেক সুবন্দোবস্ত করিয়াছিলেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে মুর্শিদাবাদ বাঙ্গলার রাজধানী হওয়ায় বঙ্গদেশের রাজা মহারাজা ও জমীদারবর্গকে নবাব-সরকারে উপস্থিত হইতে হষ্টত । অনেক রাজ মহারাজা ডাহাপাড়ায় আপনাদিগের অবস্থানোপযোগী ভবনাদিও নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। ভূমিসংক্রান্ত ও রাজস্বসংক্রান্ত বিচারের জন্ত সৰ্ব্বদাই তাহাদিগকে বঙ্গাধিকারিগণের নিকট উপস্থিত হইতে হইত। সেই সমস্ত কারণে ও কিরীটেশ্বরী প্রসিদ্ধ তীর্থ স্থান হওয়ায়, বাঙ্গলার সন্ত্রাস্তবংশীয়গণও তাহার গৌরববৃদ্ধির জন্য যথাসাধ্য যত্ন করিতেন। এই জন্ত রাজা রাজবল্লভ ও রাজা রামকৃষ্ণপ্রভূতির চিহ্ন অদ্যাপি কিরীটেশ্বরীতে বিদ্যমান রহিয়াছে। রাজা রাজবল্লভ ইহাতে তিনটা শিবস্থাপন করিরাছিলেন । বঙ্গাধিকারিগণের অবস্থা হীন হইতে আরব্ধ হওয়ায় রাজ রামকৃষ্ণ একবার কিরীটেশ্বরীর মন্দিরাদির সংস্কার করাইয়াছিলেন । কিরীটেশ্বরী তাহার সাধনার প্রিয় স্থান ছিল। অদ্যাপি দুইখানি প্রস্তর খণ্ড তাহার আসন বলিয়৷ সকলে নির্দেশ করিয়া থাকে। ভৈরবমন্দিরের সম্মুখস্থ শিবমন্দিরে একখানি প্রস্তরফলকে লিখিত আছে যে, ১৬৮৭ শাকে