পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায়। Ur電 ক্রোশ দূরে অবস্থিত, এবং উক্ত বাওড় ও ভাগীরথীর মধ্যে এক বিশাল চর মস্তকোত্তলন করিয়া নবোৎসাহে বিরাজ করিতেছে। বর্ষাকালে ভাগীরথীর সহিত উক্ত বাওড়ের যোগ হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে, রাঙ্গামাটা একটা প্রাচীন স্থান বলিয়া প্রসিদ্ধ। বাস্তৰিক ইহার চতুর্দিকে ভ্রমণ করিলে ইহাকে একটা বিস্তৃত নগরীর ধ্বংসাবশেষ বলিয়া বোধ হয়। স্থানে शत्न जैक्क छात्राङ्कबिब्र ইষ্টকৰ্তৃপ, পথে, ঘাটে, মাঠে সৰ্ব্বত্রই ইষ্টক ও মৃৎপাত্রচুর্ণ এবং স্থানে স্থানে অট্টালিকাদির ভিত্তি দেখিয়া অনুমান হয়, যেন পূৰ্ব্বে ইহা একটা সমৃদ্ধিশালিনী নগরীরূপে বিদ্যমান ছিল । ইহার নিকটস্থ তিন চারিখানি গ্রামে ঐ সমস্ত চিহ্ন অদ্যাপি দেদীপ্যমান রহিয়াছে। রাঙ্গীমাটর এমন স্থান নাই, যেখানে দুই চারিখানি ইষ্টক বা মৃৎপাত্রচুর্ণ পড়িয়া নাই। আবার এই সমস্ত ইষ্টক ও মৃৎপাত্রচুর্ণের সহিত স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্র, অন্ধুরী ও অন্তান্ত বহুমূল্য দ্রব্যাদিও মধ্যে মধ্যে দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে। যে সময়ে রাঙ্গামাটা ভাগীরথীপ্রবাহধ্বস্ত হইতেছিল, সেই সময়ে অনেক বৃহৎ বৃহৎ প্রস্তরখও গৃহের ছাদ, খিলান, ভিত্তি, স্বর্ণরৌপ্য মুদ্র, শখ, এবং ধাতুনিৰ্ম্মিত দ্রব্যাদি ভাগীরীগর্ভস্থ হইতে দেখা গিয়াছে। যেখানে ইহার যমুনানায়ী প্রাচীন পুষ্করিণী ভাগীরথীর সহিত মিলিত হইয়াছে, সেইখানে অদ্যাপি বৃহৎ বৃহৎ প্রস্তর খণ্ড পতিত রহিয়াছে। এই সমস্ত চিহ্ন দশন করিয়া ইহাকে একটা প্রাচীন ইনি বলিয়া স্বতঃই মনে হইয়া থাকে। ইহা যে কোন প্রসিদ্ধ রাজার রাজধানী ছিল, প্ৰবাদমুখে তাহাও শুনিতে পাওয়া যায়, এবং তাঁহার রাজপ্রাসাদের চিহ্ন আজিও সাধারণের নিকট