পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় । ১ e৯ আলোচনা করিলে, বোধিক্রমশক্র শশাঙ্ক ও কর্ণসুবর্ণরাজ শশাঙ্ক যে একব্যক্তি নহেন ইহাই স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়। হিউয়েন সিয়াঙ্গের বর্ণিত অবলোকিতেশ্বর বোধিসত্ত্বের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করিলে, বোধিক্রমবিনাশক শশাঙ্কের ন্যায় কর্ণসুবর্ণরাজ শশাঙ্কও বৌদ্ধবিদ্বেষ্ট ছিলেন, এইমাত্র স্বীকার করা যাইতে পারে। কিন্তু কর্ণসুবর্ণরাজ শশাঙ্ককে আমরা বৌদ্ধধৰ্ম্মের শত্রু বলিয়া স্বীকার করি না। একমাত্র অবলোকিতেশ্বরের প্রতিমূৰ্ত্তির কথা ব্যতীত অন্য কোথায়ও তাহার প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরঞ্চ হিউয়েন সিয়াঙ্গের কর্ণসুবর্ণের বিবরণ হইতে তাহার বিপরীত প্রমাণই দৃষ্ট হইয়া থাকে। বোধিক্রমশত্রু শশাঙ্কের বর্ণনায় লিখিত আছে যে, তিনি বৌদ্ধধর্মের অবমাননা ও সঙ্ঘারামাদির বিনাশ সাধন করিয়া বোধিদ্রুমের উৎপাটনে প্রবৃত্ত হন। কর্ণসুবর্ণের বিবরণে কিন্তু দেখিতে পাওয়া যায় যে, হিউয়েন সিয়াঙ্গ উক্ত রাজ্যে আসিয়া রক্তমৃত্তি সঙ্ঘারাম দর্শন করিয়াছিলেন । উক্ত সজারাম যে শশাঙ্কের বহুপূৰ্ব্বে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল,তাহ বেশ বুঝা যায়, এতদ্ভিন্ন তিনি আরও ১০টা সজারাম ও অশোকের নিৰ্ম্মিত স্তুপ ওবিহারের কথা উল্লেখ করিয়াছেন। কর্ণসুবর্ণরাজ শশাঙ্ক বৌদ্ধধৰ্ম্মের শক্ৰ হইলে নিজ রাজ্যে এই সমস্ত বৌদ্ধচিহ্ন অটুট রাখিয়া রাজ্যান্তরে সজারামাদির বিনাশের জন্য যে যত্নবান হইয়াছিলেন ইহা কদাচ সঙ্গত বলিয়া বোধ হয় না। গুপ্তবংশীয়ের হিন্দু ও শক্তি-উপাসক হওয়ায়, শশাঙ্ককে যদি কেহ বুদ্ধবিদ্বেষ্ট মনে করিয়া থাকেন, তাহা হইলে তাহাদের উক্ত সিদ্ধাস্ত অযৌক্তিক বলিয়া বিবেচনা করী কর্তব্য। কারণ কর্ণসুবর্ণরাজ্যে বৌদ্ধধর্শ্বের যেরূপ সমাদর ছিল, তাহাতে হিউয়েন সিয়াঙ্গের অব্যবহিত পূৰ্ব্ববর্তী রাজা শশাঙ্ককে