পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: е মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । কদাচ বুদ্ধবিদ্বেষ্ট বলিয়া মনে করা যায় না। সুতরাং অবলোকিতেশ্বর বোধিসত্ত্বের কথা যে কতদূর বিশ্বাস্ত তাহ বিবেচনা করা কর্তব্য। এই সমস্ত কারণে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, বোধিদ্রুমশত্রু শশাঙ্ক ও কর্ণসুবর্ণরাজ শশাঙ্ক কদাচ একব্যক্তি নহেন। আমরা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, শশাঙ্ক কোন ব্যক্তিবিশেষের নাম নহে, উহা উপাধি মাত্র। সম্ভবতঃ বোধিক্রমবিনাশকের শশাঙ্ক’ উপাধি কৰ্ণসুবর্ণ রাজ গ্রহণ করায়, এইরূপ গোলযোগের স্বষ্টি হইয়াছে। বোধিদ্রুমবিনাশক শশাঙ্ক, বিহারপ্রদেশের কোনও রাজা ছিলেন বলিয়া বোধ হয় । রোটাসের শিলালিপিতে যে শশাঙ্কের নাম পাওয়া যায়, তিনি সম্ভবতঃ বোধিক্রমবিনাশক শশাঙ্ক হইতে পারেন, এবং তাহার মোহরাদিরও আবিষ্কার হইয়াছে। উক্ত দুই শশাঙ্ক ব্যতীত আরও কোন কোন শশাঙ্কের পরিচয় পাওয়া যায়। বগুড়াতে শশাঙ্কনামে একটী পুষ্করিণী আছে। কেহ কেহ তাহাকে কোনও শশাঙ্কের প্রতিষ্ঠিত বলিয়া মনে করেন। খরকপুরে শশাঙ্কনামে ক্ষেত্তরবংশীয় একরাজা ১৫০২ খৃষ্টাব্দে ( ৯১০ ফশলী ) নিহত হইয়াছিলেন । সুতরাং শশাঙ্কনামে যে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি ছিলেন সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। বেভারিজ সাহেব আদিশূরবংশীয় শশধরকে, কর্ণসুবর্ণরাজ শশাঙ্কের নামান্তর স্থির করিয়া, তাহার সময়নির্দেশের চেষ্টা করিয়াছেন। কিন্তু আদিশুর হিউয়েন সিয়াঙ্গের যে বহুকাল পরে আবির্ভূত হন সে বিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। শশধর আদিশূর হইতে নবম পুরুষ। সুতরাং তিনি যে বহু পূর্কের লোক নহেন তাহাও বুঝা যাইতেছে, এবং তাহার প্রকৃত নাম শশধর কি স্বষ্টিধর অথবা অন্য কিছু তাহাও বুঝিবার উপায় নাই ।