পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । و نه কিন্তু তাহার ঐতিহাসিক বিবরণ পাওয়া যায় না। অষ্টাদশ শতাব্দীতে কুসুমখোলা রাজসাহীর রাজা উদয়নারায়ণের রাজধানী বড়নগরের নিকটস্থ হওয়ায় কথঞ্চিৎ উন্নতিলাভ করিয়াছিল । এক্ষণে তাহা জঙ্গলে পরিপূর্ণ। এইরূপ অন্যান্ত অনেক স্থানে প্রাচীন নগরাদির চিহ্ন দৃষ্ট হইয়া থাকে। কোন কোন স্থানে প্রাচীন দেবদেবীর মূৰ্ত্তিও বিদ্যমান আছে। তাহাদের মধ্যে কোন কোন মূৰ্ত্তি অদ্যাপি ভক্তিসহকায়ে পূজিত হইয়া থাকে। এতদ্ভিন্ন কোন কোন স্থানে অল্পোচ্চ প্রস্তরস্তস্ত দেখিতে পাওয়া যায়। জঙ্গীপুরের নিকট গণকর, বহরমপুরের পরপারে ভূঙ্গেশ্বরের মন্দির প্রভৃতি স্থানে ঐরূপ স্তস্ত বিদ্যমান আছে। সাধারণে তাহাদিগকে ভীমের গদা বলিয়া অভিহিত করে । প্রকৃত প্রস্তাবে উক্ত স্তম্ভ বৌদ্ধকালের নিৰ্ম্মিত বলিয়া বোধ হয়। বহরমপুরের পরপারে ৩ ক্রোশ পশ্চিমে অমরকুণ্ডনামক একটা স্থান আছে, ইহার নিকট তেলকার নামক একটা বৃহৎ বিল অবস্থিত। তেলকার এক সময় যে গঙ্গার গর্ভ ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই । অমরকুণ্ডের অপর নাম পাণিকুণ্ড । এখানে গঙ্গাদিত্য নামে স্বৰ্য্যের এক মন্দির আছে। গঙ্গাদিত্য একটা প্রাচীন দেবতা বলিয়া প্রসিদ্ধ। কিন্তু মন্দিরটকে বহুকালের নিৰ্ম্মিত বলিয়া বোধ হয় না। গঙ্গাদিত্যের প্রাচীন মন্দির ভগ্ন হওয়ায় বর্তমান মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছে বলিয়া কথিত হয়। যৎকালে তেলকার গঙ্গার গর্ভ ছিল, সেই সময়ে যে গঙ্গাদিত্য প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। কারণ গঙ্গার নিকট আদিত্যদেব প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি গঙ্গাদিত্য নামে অভিহিত হন । কাশীখণ্ডের লিখিত দ্বাদশাদিত্যের অন্ততম গঙ্গাদিত্যও গঙ্গার সমীপে