পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । ➢ ጫ& জলকষ্ট নিবারণের জন্ত স্ববুদ্ধি রায় একটী দীর্ঘিকা খননের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। হোসেন সাহ তাঁহারই তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত হইয়াছিলেন । হোসেনের কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্যে কোন ক্রটি লক্ষিত হওয়ায় সুবুদ্ধি রায় তাহার অঙ্গে চাবুকের আঘাত করেন । * সেই আঘাতচিহ্ন দিন পর্য্যস্ত হোসেন সাহার অঙ্গে বিদ্যমান ছিল । সুবুদ্ধি রায়ের অধীনে চাকরী করিতে করিতে হোসেন যেরূপ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় প্রদান করেন, তাহাতে রায় বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, হোসেন উত্তরকালে একজন ক্ষমতাশালী লোক হইয়া উঠিবেন । * তৎকালে চাদপাড়ায় একজন কাজী বাস করিতেন । তিনি হোসেনের পরিচয়ে তাহাকে সৈয়দবংশীয় জানিয়া

  • “পুৰ্ব্বে যবে সুবুদ্ধি রায় ছিল গৌড় অধিকারী,

সৈয়দ হযেন খী করে তাহার চাকরী । ोो ८श्राप्लाष्ट्रेष्ठ ठान्न भनीरु tरुठा, ছিদ্র পাঞ রায় তারে চাবুক মারিল ।” চৈতন্যচরিতামৃত, মধ্যলীলা। ২০ পঃ। + প্রবাদ মুখে এইরূপ শুনা যায় যে, হোসেন গোচারণ করিতে করিতে একটা ক্ষুদ্র পুষ্করিণীর ধারে অশ্বথবৃক্ষতলে নিদ্রিত হইয় পড়েন। দুইটা সৰ্প রৌদ্র নিবায়ণের জন্তু তাহার মন্তকে ফণা বিস্তার করিয়া অবস্থিতি করে। ইতিমধ্যে স্ববুদ্ধি রায় তথায় উপস্থিত হন, এবং এই ব্যাপার দর্শন করিয়া অভ্যতাপ্ত বিস্ময় অনুভব করেন। হোসেন জাগ্রত হইলে তিনি উহাকে বলেন যে, তুমি রাজা হইবে, কিন্তু তখন আমার কথা স্মরণ রাখিও । তদবধি তিনি হোসেনকে আর গোচারণে নিযুক্ত করেন নাই। এ প্রবাদের কোন মূল আছে বলিয়া বিশ্বাস করা যায় না। তবে স্ববুদ্ধি রায় হোসেনের বুদ্ধিমত্তাল্প পরিচয় যে পূৰ্ব্ব ইষ্টতে গাইয়াছিলেন, ইহা জমুনান করা যাইতে পারে।