পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। ४११ দীখননকালে স্ববুদ্ধিরায় হোসেনকে যে চাবুকের আঘাত করিয়াছিলেন, বেগম সাহার অঙ্গে তাহার চিহ্ন দেখিয়া * স্ববুদ্ধিরায়ের প্রাণনাশের জন্য র্তাহাকে বারম্বার উত্তেজনা করেন । হোসেন তাহার পূর্ব প্রভুর উপকার স্মরণ করিয়া সেই পিতৃতুল্য প্রতিপালকের প্রাণনাশে অস্বীকৃত হন। বেগম তাহাতে নিবৃত্ত না হইয়া প্রাণনাশের পরিবর্তে রায়ের জাতিনাশের জন্ত বারম্বার সাহাকে অনুরোধ করিতে আরম্ভ করেন । হোসেন তাহাতেও অস্বীকৃত হইয়া বলেন যে, জাতিনাশ ব্রাহ্মণের পক্ষে প্রাণনাশের তুলাই হইবে । কারণ জাতিনাশের পর ব্রাহ্মণ কখনও জীবিত থাকিবেন না । বেগম সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া নিজেই তাহার প্রাণনাশের আদেশ দিতে উদ্যত হইলে, হোসেন জলপাত্র হইতে জল লইয়া সুবুদ্ধিরায়ের মুখে নিক্ষেপ করিতে আদেশ দেন ; {

  • এই বেগম চাদপাড়ার কাজীর কন্ঠ কি না বলা যায় না। কারণ উাহার এত দিন পরে হোসেনের অঙ্গে চাবুকের চিচু দেখিতে পাওয়া কিছু অসত্বত বলিয়া বোধ হয়। সুবুদ্ধিরায়ের চাকরী পরিত্যাগের পরই কাজীর কন্যার সহিত হোসেনের বিবাহ হয় । তিনি উক্ত বেগম হইলে হোসেনের অঙ্গে কি পূৰ্ব্বে আঘাতের চিছু দেখিতে পান নাই ? অথবা তিনি পূৰ্ব্বে লক্ষ্য না করিতেও পারেন । কিন্তু এই বেগমকে কাজীর কল্প হইতে স্বতন্ত্র বলিয়াই বোধ হয় ।

+ “তার স্ত্রী তার অঙ্গে দেখি মারণের চিহ্লে, মুবুদ্ধিরায়কে মারিতে কহে রাজাস্থানে । রাজা কয় আমার পোষ্ট্র রায় হয় পিতা, তাহারে মারিৰ অামি ভাল নহে কথা । স্ত্রী কহে জাতি লহ যদি প্রাণে না মারিবে, রাজা কহে জাতি নিলে ইন্থে। নাহি জীবে।