পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । >切-> এখানে কোন একটী সমুদ্ধিশালী ব্যক্তির বাসভবন ছিল। এক্ষণে উক্ত স্থানের যাহা কিছু ঐতিহাগিক বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া যায় তাহারই উল্লেখ করা যাইতেছে । উক্ত বিবরণ একমাত্র প্রবাদমুখবিনিঃস্থত হওয়ায় তাহাকে সতর্কতার সহিত গ্রহণ করাই কৰ্ত্তব্য। এইরূপ শুনিতে পাওয়া যায় যে, যৎকালে হোসেন সাহ গৌড়ের একাধীশ্বররুপে বঙ্গদেশে আপনার প্রভুত্ব ও গৌরব বিস্তার করিতেছিলেন, সেই সময়ে ঐ স্থানে এক জন প্রতাপশালী ব্রাহ্মণজমীদার ব্রাহ্মণ জমীদার বাস করিতেন। জনৈক তীবর ও তাওর (তীওর) ভূত্য র্তাহার যারপরনাই প্রিয়পাত্র ছিল। কৰ্মচারী। ক্রমে ক্রমে সে ব্রাহ্মণের জমীদারীকার্য্যে সৰ্ব্বপ্রধান কৰ্ম্মচারী হইয় তাহার প্রধান মন্ত্রণাদাত হইয়া উঠে। ব্রাহ্মণ জমীদার নিঃসন্তান ছিলেন। এক সময়ে তিনি তীর্থপর্য্যটনমানসে উক্ত তীবর কৰ্ম্মচারীর প্রতি জমীদারীর ভার অর্পণ করিয়া সস্ত্রীক স্বভবন হইতে বহির্গত হন । নানা তীর্থে পৰ্য্যটন করিতে র্তাহার প্রত্যাগমনের বহুবিলম্ব ঘটায় তীবর উচ্চ আশার বশবৰ্ত্তী হইয়া প্রভুর সম্পত্তি আত্মসাৎ করিতে ইচ্ছুক হয়, এবং ব্রাহ্মণের অলীক মৃত্যুসংবাদ রটাইয়া দানহুত্রে তাহার সমস্ত সম্পত্তির অধিকারী হইয়াছে বলিয়া ঘোষণা করিয়া দেয় । ব্রাহ্মণ তীর্থ হইতে প্রত্যাগত হইয়। সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত হন। কিন্তু স্বীয় তীবর কৰ্ম্মচারীর কৌশল ভেদ করিতে সমর্থ না হওয়ায় * চিরদিনের জন্য ঐ স্থান পরিত্যাগ • ব্রাহ্মণকে নিবৃত্ত করা সম্বন্ধে এইরূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে যে, যৎকালে ব্রাহ্মণ তীর্থপর্য্যটনে বহির্গত হন, সেই সময়ে সম্পত্তিস্তাসের চিচুস্বরূপ তীবরকে নিজ চৰ্ব্বিতাবশিষ্ট তাম্বুল প্রদান করিয়া যান। ৰাহ্মণ প্রত্যাগত হইলে তীবর সেই চৰ্ব্বিতাবশিষ্ট ভাস্কুল লইয়া উাহার নিকট