পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૩ જ ર মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । করিয়া চলিয়া যান। নিঃসস্তান হওয়ায় পুৰ্ব্ব হইতে ব্রাহ্মণের সংসারের প্রতি অনাসক্তি জন্মে, এক্ষণে তীর্থপর্য্যটনে তাহার বৃদ্ধি হওয়ায় তিনি তীবরের অসদ্ব্যবহারের প্রতীকারের কোনাই চেষ্টা করেন নাই। ইহার পর হইতে তীবর নিষ্কণ্টকে ব্রাহ্মণের বিপুল সম্পত্তি উপভোগ করিতে প্রবৃত্ত হয়, এবং অল্প দিনের মধ্যে এরূপ ক্ষমতাশালী হইয়া উঠে যে, উক্ত অঞ্চলে সে তীওর রাজা’ নামে বিখ্যাত হইয় পড়ে । তীওর রাজা বিপুল অর্থ সঞ্চয় করিয়া ক্রমে ক্রমে স্বীয় ক্ষমতার পরিচয় দিতে আরম্ভ করিলেন । তাহার হৃদয়ে অভিমান ও ভাওর রাজা দত্তের সঞ্চার হইতে লাগিল, এবং নিজে স্বাধীন VG রাজা বলিয়া গণ্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন । হোসেন সাই । কিন্তু সে সময়ে পাঠান রাজাধিরাজ হোসেন সাহ গৌড়ের সিংহাসনে উপবিষ্ট থাকায় তীওর রাজা সহজে যে স্বাধীনতার রসাস্বাদ করিতে সক্ষম হইবেন না, তাহা নিজেই বুঝিতে পারিয়াছিলেন। সেই জন্ত ধীরে ধীরে তিনি সৈন্তসংগ্রহে প্রবৃত্ত হন । কিছু দিন পরে তাহার সৈন্যদল গঠিত হইলে, তিনি হোসেন সাহার সহিত রণপরীক্ষার প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন । তীওর রাজ বুদ্ধিমান ও কাৰ্য্যক্ষম হইলেও সদ্বংশে জন্মগ্রহণ না করায় ও ' উপযুক্ত শিক্ষা প্রাপ্ত না হওয়ায় একটা ঘৃণিত উপায়ে হোসেন সাহার ক্রোধাগ্নি প্রজ্জ্বালিত করিয়া তুলেন। এইরূপ কথিত আছে উপস্থিত হয়, এবং এই কথা বলে যে, “প্রভো ! যদি সম্পত্তি ফিরাইয়া লইবেন, তবে আপনার দত্ত চৰ্ব্বিতাবশিষ্ট তামুলও পুনৰ্গ,হণ করুন"। ব্রাহ্মণ তাহার কোন উত্তর দিতে সমর্থ না হওয়ায় সম্পত্তি পরিত্যাগ করিয়া চলিয়। যাইতে বাধ্য হন।