পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। ンv● - যে, হোসেন স্বtহার মাতা এক আন চাঁদপাড়া হইতে শিবিকারোহণে রাজধানী গৌড়ে গমন করিতেছিলেন।* তীওর রাজার জর্মীদারীর মধ্য দিয়া রাজপথ প্রচলিত থাকার সাহজননীকে সেই স্থান দিয়া যাইতে হয়। র্তাহার সহিত সামান্তমাত্র লোকজন ছিল । তীওর রাজা, হোসেন সাহার অবমাননার ইচ্ছায় সেই অল্প ংখ্যক লোক কয়টার আক্রমণের জন্য স্বীয় সৈন্তগণের প্রতি আদেশ প্রদান করেন । বলা বাহুল্য, তাহাতে বাদসাহের লোকজন পরাজিত হয়, এবং সাহজননীও যারপরনাই অবমাননা ভোগ করিতে বাধ্য হন। হোসেন সাহ পুৰ্ব্ব হইতে এই ক্ষুদ্রপ্রাণ জমীদারের বিদ্রোহলক্ষণ বুঝিতে পারিয়াছিলেন, কিন্তু স্পষ্টতঃ বিদ্রোহের কোন কাৰ্য্য দেখিতে না পাওয়ায়, তাহার শাসনে মনোযোগ প্রদান করেন নাই। এক্ষণে নিজের অবমাননার সংবাদ পাইয়া তিনি এরূপ ক্রুদ্ধ হইয়া উঠিলেন যে, অচিরাৎ সেই বিদ্রোহী তীওররাজের বিনাশসাধনের জন্ত আদেশ প্রদান করিলেন । রাজাদেশে তথায় এক দল সৈন্ত ও প্রেরিত হইল, কিন্তু সৈন্তগণ সহজে তীওররাজের রাজধানী আক্রমণে সক্ষম হইল না । র্তাহার সৈন্তগণ এরূপ উৎসাহসহকারে যুদ্ধ করিতেছিল যে, গৌড়েশ্বরের সেনাপতি তাহাদিগকে সহজে পরাজয় করা অসম্ভব মনে করিলেন। তাঁহাদের উৎসাহ দেখিয়া সকলের বোধ হইল, যেন তাওররাজের মৃত সৈন্তগণ পুনর্জীবিত হইয়া উঠিতেছে। • হোসেন সাহার মাতার এইরূপ ভাবে গমনসম্বন্ধে প্রবাদ যে কতদূর সত্য ভাহা বলা যায় না। তবে হোসেনের পূৰ্ব্ব লিবাস চাদপাড়ায় থাকায়, এবং সেইস্থানেই তাহার শ্বশুরালয় হওয়ায়, চাদপাড়া হইতে গোঁড়ে তাহার পরিবারবর্গের যাতায়াত সম্ভব হইলেও হইতে পারে।