পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুর্শিদাবাদের ইতিহাস। واسbھ? ঐ সমস্ত স্থান ভিন্ন মুর্শিদাবাদের আর একটী স্থানে হোসেন সাহার এক বিরাট কীৰ্ত্তি অদ্যাপি তাহার গৌরব ঘোষণা করিতেছে। ইতিহাস ও প্রবাদ একবাক্যে বলিয়া সেখের দীর্ঘী । থাকে যে, হোসেন সাহা ধৰ্ম্মার্থে সৎকাৰ্য্য করিয়াছিলেন। মুর্শিদাবাদেও তাহার একটা চিহ্ন বিদ্যমান রহিয়াছে। আজিমগঞ্জ ও নলহাটী শাখা রেলওয়ের বোখার ষ্টেশন হইতে প্রায় সাৰ্দ্ধ দুই ক্রোশ উত্তরে ও চাদপাড়া হইতে তিন ক্রোশ পশ্চিমে একটা প্রকাণ্ড দীঘী দেখিতে পাওয়া যায়। ঐ দীঘী সাধারণতঃ "সেখের দীৰী” নামে প্রসিদ্ধ । সাগরদীবী ও মহেশালের দীর্ঘীর পর এরূপ বিশাল দাবী আর মুর্শিদাবাদে দৃষ্টিগোচর হয় না। দীর্ঘাট যেমন বৃহদায়তন, তেমনই মনোরম। ইহার চারিপার্শ্ব বৃক্ষশ্রেণী-পরিশোভিত হইয়া দীঘীকে পথিকগণের যারপরনাই প্রিয় করিয়া তুলিয়াছে। সময়ে সময়ে প্রস্ফুটিত পদ্মরাজি লোকলোচনের তৃপ্তি সম্পাদন করিয়া থাকে। বোখার ষ্টেশন হইতে সরকারী রাস্ত দীবীর পূর্ব পার্শ্ব দিয়া জঙ্গীপুর পর্য্যন্ত চলিয়া গিয়াছে। আতপপরিক্লিষ্ট পথিকগণ দীবীর পাশ্বস্থ বৃক্ষচ্ছায়ায় বসিয়া ও তাহার পবিত্র জলপান করিয়া আপনাদের ক্লেশ অপনোদন করিয়া থাকে। দীর্ঘীর পশ্চিম পার্শ্বে একখানা গ্রাম দৃষ্ট হয়, দীবীর নামানুসারে গ্রামখানিরঃ নামও সেখের দীঘী হইয়াছে। এই সেখের দীঘী লোকের জলকষ্ট নিবারণের জন্য পুণ্যকাম হোসেন সাহার আদেশে খনিত হইয়াছিল। দীর্ঘীর পশ্চিম পাহাড়স্থ প্রস্তরফলক হইতে জানিতে পারা যায় যে ৯২১ হিজরীর রবিয়স্সানি মাসে হোসেন সাহার