পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । فراوانی কাৰ্য্য দর্শন করিতেন। দীর্ঘীর হাউজের মধ্যে সুগভীর কূপ খনন করা হইলেও জল বহির্গত হয় নাই। হোসেন সাহার নিকট সেই সংবাদ পহুছিলে তিনি স্বয়ং তথায় উপস্থিত হন, এবং কুপ হইতে জল উত্থিত না হওয়ায় অত্যন্ত বিস্ময়াবিষ্ট ও চিন্তিত হইয়া পড়েন । সেই সময়ে তিনি শুনিতে পান যে, এই দীর্ঘীর পাহাড়ে একজন ফকীর অবস্থিতি করিতেছেন, সম্ভবতঃ র্তাহারই কোন অলৌকিক ক্ষমতার জন্য দাবী হইতে জল উঠিতেছে না। হোসেন সাহা তাহাতে বিশ্বাস না করিয়া ফকীরের ক্ষমতা পরীক্ষায় প্রবৃত্ত হন। কয়েকটা বিষয়ের পরীক্ষার পর তিনি জানিতে পারেন যে, বাস্তবিকই ফকীর আলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন। পরে তিনি তাহাকে দীঘী হইতে জল উঠাইতে অনুরোধ করায়, ফকীর নিজ হস্তস্থিত একটা দণ্ড জনৈক চেলা বা শিষ্যকে প্রদান করিয়া তত্ত্বারা তাহাকে জল উঠাইতে অাদেশ করেন। চেলা কুপমধ্যে দগুটি প্রোথিত করিলে, তৎক্ষণাৎ জল বহির্গত হয় ও দীৰী পরিপূর্ণ হইয় উঠে। হোসেন সাহ যারপরনাই সস্তুষ্ট হইয় ফকীরের সহিত অালাপনে জানিতে পারেন যে, তিনি হোসেন সাহার স্ববংশীয়, এবং তাহার নাম আবু সৈয়দ ত্রিমিজ। আবু সৈয়দ ফকীরের বেশে বহু দেশ ভ্রমণের পর এই স্থানে উপস্থিত হন, এবং স্থানটাকে মনোরম বিবেচনা করিয়া তথায় কিছুদিনের জন্য অবস্থিতি করেন। হোসেন সাহা তাহাকে ঐ স্থানে বাস করিতে অনুরোধ করায়, আবু সৈয়দ তাহাতে স্বীকৃত হন। হোসেন তাহার জীবিকা নিৰ্ব্বাহের জন্য ৬৬ বিঘা লাখেরাজ ভূমি ও বাসের জন্ত মণ্ডফাবাদ নামে মৌজা প্রদান করেন, তজ্জন্ত এক খণ্ড সনদও প্রদত্ত হয় ।