পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। సిసి) হইয়াছিল। অট্টালিকা এক্ষণে ভূমিসাৎ হইয়াছে, তবে তাহার তগ্নাবশেষ আজিও দেখিতে পাওয়া যায়। দীর্ঘীর পশ্চিম পাহাড়ে যে মসজীদটী নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল তাহাও ভাঙ্গিয়া গিয়াছে । তাহার নিকটে আৰু সৈয়দ ত্রিমিজের সমাধি অদ্যাপি বিদ্যমান আছে । সমাধিট প্রস্তরমণ্ডিত; লোকে এই সমাধি স্থানে অনেক বিষয়ে মানত করিয়া থাকে। এই সমাধির নিকটে একখানি কষ্টি প্রস্তরফলকে সেখের দীর্ঘীর খনন ও সময়ের কথা খোদিত আছে । পূৰ্ব্বে তাহা উল্লিখিত হইয়াছে। বোখার হইতে জঙ্গীপুরের পথের পাশ্বেই সেখের দী অবস্থিত হওয়ায়, তাহ পথিকগণের অত্যন্ত উপকার সাধন করিয়া থাকে। চারি পার্শ্বে বৃক্ষপরিশোভিত এই বিশাল দীঘী মুর্শিদাবাদে হোসেন সাহার কীৰ্ত্তি ঘোষণা করিয়া তাহার নামকে অমর করিয়া রাখিয়াছে। হোসেন সাহার সহিত মুর্শিদাবাদের যেরূপ সম্বন্ধ ছিল, তাহ প্রদর্শিত হইল। হোসেন সাহার সময় পশ্চিম মুর্শিদাবাদে একজন মুসলমান ফকীর প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন। লোকে তাহাকে সিদ্ধপুরুষ বলিয়া মনে করিত। উক্ত ফকীর দাদাপীর নামে বিখ্যাত। পূৰ্ব্বে তাহার নাম সাহচাদ ছিল। এইরূপ শুনিতে পাওয়া যায় যে, তিনি আরব দেশে জন্ম পরিগ্রহ করেন এবং বাল্যকাল হুইতে ফকিরী গ্রহণ করিয়া দেশ ভ্রমণে বহির্গত হন; ক্রমে পশ্চিম মুর্শিদাবাদেৱ আতাই নামক স্থানে আগমন করেন। আতাই সুপ্রসিদ্ধ ফতেসিংহ পরগণার সন্নিহিত সেরপুর পরগণার অন্তর্গত ও বর্তমান খড়গ্রাম থানার অধীন। এইখানে অনেক দিন অবস্থিতি করার পর দাদাপীর আতাইএর নিকটস্থ নগরনামক গ্রামে গিয়া বাস করেন। উক্ত প্রদেশে গ।খ।ীর ।