পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ー、> ● মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । জগৎসিংহকে একদল সৈন্তসহ কতলু খার বিরুদ্ধে পাঠাইয় দেন। পাঠানদিগের এক নৈশ আক্রমণে জগৎসিংহ তাহাদের হস্তুে বন্দী হন। ইতিমধ্যে কতলু বঁর মৃত্যু হইলে তাহার সন্তানগণ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পাঠানের মানসিংহের সহিত সন্ধিস্থাপনে প্রয়াসী হয়, এবং জগৎসিংহকে মুক্ত করিয়া কতলু থার উজীর খাজা ঈশার দ্বারা মানসিংহের নিকট অনেক উপঢৌকন প্রেরণ করে। মানসিংহ আফগানদিগকে সম্রাটের অধীন রাজারূপে উড়িষ্যার শাসনকাৰ্য্য করিতে আদেশ দেন। যতদিন পর্য্যস্ত খাজা ঈশা জীবিত ছিলেন, ততদিন পর্য্যন্ত ঐক্কপ ভাবে সন্ধির সর্ত রক্ষিত হইয়াছিল। তাহার মৃত্যুর পর আফগানগণ পুনৰ্ব্বার বিদ্রোহী হইয়া জগন্নাথপ্রদেশ আক্রমণ করিলে, মানসিংহ তাহাদের বিরুদ্ধে উড়িষ্যাভিমুখে গমন করেন। সুবর্ণরেখানদীতীরে আফগানের সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হইয়া পলায়ন করিতে বাধ্য হয়। পরে মানসিংহ জলেশ্বর ও কটকদুর্গ অধিকার করিয়া জগন্নাথে উপস্থিত হইলে, কটকের রাজা রামচাদ আফগানদিগের সহিত যোগদান করিয়া মানসিংহের বিরুদ্ধে উখিত হওয়ার চেষ্টা করেন। অবশেষে উভয় পক্ষের মধ্যে সন্ধি স্থাপিত হইলে, রামচাদ দিল্লীতে করপ্রদানে স্বীকৃত হন, এবং আফগানের বাদসাহের বিশ্বস্ত প্রজারূপে বাস করিত্তে স্বীকার করে, ও আপনাদিগের বৃত্তির জন্য কতকগুলি জায়গীয় প্রাপ্ত হয়। এইরূপে উড়িষ্যা পুনৰ্ব্বার মোগলসাম্রাজ্যভুক্ত হয় । মানসিংহ জগৎসিংহকে একদল সৈন্তের সহিত উড়িষ্যার সীমাজপ্রদেশে থাকিবার আদেশ দিয়া নিজে বিহারাভিমুখে অগ্রসর হন। রামচাদ সন্ধির সর্বানুসারে কার্য্য করিতে অস্বীকৃত হইলে,