পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q>8 মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । একটা গুলি আসিয়া তাহার রক্ষক আফগানকে নিপাতিত কৰিলে মোগলেরা আসিয়া রঙ্গকের উদ্ধারসাধন করে। আবদুল ক্লজকের উদ্ধারে মানসিংহ যারপরনাই সস্তুষ্ট হইয়াছিলেন। এই যুদ্ধের পর মানসিংহ সম্রাটের সহিত সাক্ষাৎ করিলে, দিল্লীশ্বর আকবর বাদসাহ তাহাকে সাত হাজারী মনসবদার পদে উন্নীত করিয়াছিলেন। ইতিপূৰ্ব্বে বাদসাহের পুত্র পৌত্র ভিন্ন কোন হিন্দু বা মুসলমান এই উন্নত পদ প্রাপ্ত হন নাই। সেরপুর ও আত্তাইএর যুদ্ধে পরাজিত হইয়া, এবং মানসিংহের উপস্থিতিতে আফগানগণের বিজয়-আশা একেবারেই অন্তহিত হয় । অনেক দিন পর্য্যন্ত তাহারা বিদ্রোহানল প্রজালিত করিতে পারে নাই। অবশেষে ১৬১১ খৃষ্টাব্দে সেখ ইসলাম খাঁর শাসনসময়ে ওসমান পুনৰ্ব্বার বিদ্রোহী হইয়া উঠিলে, মোগলসৈন্তের সহিত যুদ্ধে তাহাকে জীবন বিসর্জন দিতে হয় । তাহার পর হইতে জাফগানের ক্রমশঃ হীনবীৰ্য্য হইয় পড়ে। সেরপুর ও আতাইএর যুদ্ধ পশ্চিম মুর্শিদাবাদের একটা প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক ঘটনা। অদ্যাপি উক্ত প্রদেশের স্থানীয় লোকেরা যুদ্ধসম্বন্ধে নানা প্রসঙ্গের আলোচনা করিয়া থাকে। ঐ সমস্ত অধিবাসিগণের অধিকাংশ মুসলমান হওয়ায় তাহার ওসমানের নামই বিশেষরূপে ব্যক্ত করিতে পারে। কিন্তু মানসিংহের নাম তাহাদের নিকট শুনা যায় না, তবে ওসমানের সহিত একজন হিন্দু রাজার যুদ্ধ হইয়াছিল বলিয়া তাহার প্রকাশ করিয়া থাকে। মরিচার যে পশ্চিম প্রান্তরে যুদ্ধ হইয়া ছিল, লোকে অদ্যপি তাহার স্থান নিদর্শন করে, ও তাঁহাকে গড়ের মাঠ বলে। সেরপুরের একটা পুষ্করিণীতে মৃতদেহ নিক্ষিপ্ত