পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

求b々. মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । করিতে হইবে । বঙ্গোপসাগরেও সৈন্যসহিত কয়েকখানি জাহাজ পাঠাইবারও প্রস্তাব হইল। ঐ সমস্ত জাহাজ প্রথমে বালেশ্বরে উপস্থিত হইয়৷ বঙ্গোপসাগরের অধ্যক্ষ ও অন্যান্স প্রধান কৰ্ম্মচারীদিগকে লইয়া চট্টগ্রামের দিকে যাত্রা করিবে, এবং ঢাকায় নবাবকে সংবাদ দিয়া চট্টগ্রাম অধিকার করিবে। আড় মিরাল নিকলসন ও ভাইস-আডুমিরাল স্তামন বঙ্গোপসাগরে যুদ্ধ-জাহাজ সকলের পরিচালনের ভার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। জব চাণকও কোম্পানীর ইংরাজ, পৰ্টুগীজ ও দেশীয় সৈন্য লইয়া প্রস্তুত থাকিতে আদিষ্ট হন । ১৬৮৬ খৃষ্টাব্দে নিকলসনের জাহাজ ও অন্ত আর একখানি জাহাজ বাঙ্গলায় আসিয়া উপস্থিত হয় ; কিন্তু স্তামনের জাহাজ সে সময়ে পহুছিতে পারে নাই। ঐ দুই খানি জাহাজে কতকগুলি কামান, কিঞ্চিল্গুন চারি শত সৈন্ত ও চাণকের নিকটও প্রায় চারি শত সৈন্ত ছিল । এই আট শত সৈন্তের সাহায্যে ইংরাজ কোম্পানী বিপুল নবাব বাহিনীর সহিত প্রতিযোগিতায় প্রবৃত্ত হইলেন। নবাবের আদেশে তিন সহস্র পদাতিক ও তিন শত অশ্বারোহী হুগলী বন্দর রক্ষার জন্ত উপস্থিত হয়। সেই সময়ে ফৌজদার আবদুল গণি নদীর দিকে বুরুজ নিৰ্ম্মাণ করিয়া ১১টা কামান স্থাপন করেন। এইরূপে উভয় পক্ষের সৈন্য সমবেত হইলে ক্রমে মোগল ও ইংরাজে বিবাদ বাধিয়া উঠে। ১৬৮৬ খৃষ্টাব্দের ২৮শে অক্টোবর তিন জন ইংরাজ সৈন্ত হুগলীর বাজারে উপস্থিত হইলে, কয়েক জন নবাব সৈন্ত তাহীদের সহিত বিবাদ আরম্ভ করে, এবং ইংরাজ সৈন্তক্ৰয় যৎপরোনাস্তি অবমানিত ও আহত হইয়া, হুগলীর বিবাদ ।