পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতারণিকা । २० উঠেন। মোগলের শেষ বংশধর বাহাদুর সাহ ১৮৫৭খৃষ্টাব্দে বিদ্রোহী সিপাহীগণের সহিত মিলিত হওয়ায় ইংরাজ সেনাপতি হডসন কর্তৃক ধৃত ও রেজুনে নিৰ্ব্বাসিত হন, এবং তাহার দুই পুত্রকে নির্দয়ভাবে গুলি করিয়া হত্যা করা হয়। এইরূপে মোগলবংশের নাম ভারতবর্ষ হইতে একেবারে বিলুপ্ত হইয়া যায়। যাহারা এক দিন সমগ্র ভারতের সম্রাট বলিয়া সৰ্ব্বত্র পূজিত হইতেন, তাহাদের বংশধরগণের শেষ দশা অত্যন্ত শোচনীয় হইয়া উঠে । কে জানিত যে, আকবর ও আরঙ্গজেবের বংশ একেবারে পৃথিবী হইতে নির্মুল হইয়া যাইবে অথবা তাহদের বংশধরগণকে জীবিকার জন্ত সামান্ত দরিত্রের দ্যায় লোকের দ্বারস্থ হইতে হইবে । অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমে অযোধ্যারাজ্য মোগলসাম্রাজ্যের অধীন থাকিলেও কতকগুলি হিন্দুরাজাকর্তৃক প্রকৃত প্রস্তাবে উক্ত প্রদেশের শাসনকাৰ্য্য পরিচালিত হইত। - এলাহাবাদের মোগল শাসনকৰ্ত্ত তাঁহাদের নিকট হইতে রাজস্ব আদায়ের চেষ্টা করিয়া নামমাত্র দিল্লীর প্রভুত্ব বিস্তার করিতেন। উক্ত হিন্দুরাজগণ সকল সময়ে মোগলের অধীনতা স্বীকার করিতেন না। ১৭৩২ খৃষ্টাব্দে নৈশাপুরের পারসীক ব্যবসায়ী সাদৎ আলি খাঁ অযোধ্যার সুবেদার নিযুক্ত হন। হিন্দুরাজগণ প্রথমতঃ তাহার শাসনকার্য্যে বাধা প্রদান করিলেও অবশেষে বস্ততা স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। সাদৎ খ সম্রাট মহম্মদ সাহের সময় স্বীয় ক্ষমতা প্রদর্শন করিয়াছিলেন। নাদির সাহের ভারতাক্রমণে সাদৎ পারসীকগণ কর্তৃক ধৃত হন, পরে লাদিরের অনুকম্পায় মুক্তিলাভ করেন। ১৭৪৩ খৃষ্টাস্বে স্বাদতের মৃত্যুর পর তাহার জামাত সফদর জঙ্গ অযোধ্যার শাসনকর্তৃত্ব অযোধ্যা ।