পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুর্শিদাবাদের ইতিহাস। و برنابع সানের পর ভূষণায় একজন ফৌজদার নিযুক্ত হইয়াছিলেন। এই ভূষণা ফৌজদারীর মধ্য দিয়া মধুমতী নামে একটা ক্ষুদ্র নদী প্রবাহিত হইত। মধুমতী আজিও সমভাবে বহিয়া চলিয়াছে। উক্ত মধুমতীতীরে হরিহরনগরনামক গ্রামে খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দার মধ্য ভাগে বিশ্বাস উপাধিধারী উত্তররাঢ়ীয় কায়স্তৃগণের একটা শাখা বাস করিতেন। তাহাদের পূর্ব নিবাস মুর্শিদাবাদের কান্দী উপবিভাগের অন্তর্গত গয়েসপুর গ্রামে ছিল । কাৰ্য্যোপলক্ষে তাহার হরিহরনগরে বাস করিয়াছিলেন। এই বিশ্বাসবংশে সুপ্রসিদ্ধ সীতারাম রায় জন্ম গ্রহণ করেন। র্তাহার পিতার নাম উদয়নারায়ণ রায়। ইহাদের জাতিগত উপাধি বিশ্বাস হইলেও, অনেক দিন হইতে র্তাহার রায় উপাধি প্রাপ্ত হইয়া প্রসিদ্ধ হইয়া উঠেন। রায়গণ প্রথমতঃ কতকগুলি মৌজা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তালুকের জমিদারী লাভ করেন। সীতারাম সেই যৎকিঞ্চিৎ পৈতৃক সম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়া প্রথমতঃ তাহারই পর্য্যবেক্ষণে প্রবৃত্ত হন। তিনি অশ্বারোহণে মাঠে মাঠে ভ্রমণ করিতেন এবং বাল্যকাল হইতে বাহুবলের জন্য সৰ্ব্বত্র পরিচিত ছিলেন। বিশেষতঃ সপ্তদশ শতাব্দীতে পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণ বঙ্গে মগ ও ফিরিঙ্গীর অত্যাচার প্রবল হওয়ায়, উক্ত প্রদেশের অধিবাসিগণের বাহুবল শিক্ষার প্রয়োজন হইত। আপনার ক্ষুদ্র জমীদারী পরিদর্শন করিতে করিতে, সীতারামের ভূসম্পত্তিবৃদ্ধির কামনা প্রবল হইয় উঠে ; ক্রমে তিনি একটা ক্ষুদ্র স্বাধীন হিন্দুরাজ্যস্থাপনে প্রয়াসী হন। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে দুৰ্ব্বল ইব্রাহিম খাঁর শাসনকালে যে সময়ে পশ্চিম বঙ্গে সভা সিংহ ও রহিম খার বিদ্রোহ প্রবল হইয় উঠে, সেই সময়ে সীতারামও আপনার