পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়। 36 రి তিনি হিজরী ১১১৯ বা ১৭১৭ খৃষ্টাব্দে বাদসাহ ফরথ সেরের নিকট হইতে শেঠ উপাধি ও ফাৰ্ম্মান লাভ করেন। তৎপরে নবাব মুর্শিদকুলীর অনুরোধক্রমে ফতেচাদ বাদসাহদরবার হইতে বাঙ্গলার রাজস্বের পোদারী পদ প্রাপ্ত হইয়াছিলেন । * উক্ত পদ প্রাপ্ত হইয়া তিনি জমীদারদিগের নিকট হইতে সমস্ত টাকা কড়ি বুঝিয়৷ লইয়া খালসা বিভাগে জমা করিয়া দিতেন। মাণিকচাদের ন্যায় ফতেচাদও মুর্শিদকুলী খাঁর অত্যন্ত প্রিয়পাত্র হইয় উঠেন। এই ফতেচাদই প্রথমে জগৎশেঠ উপাধি প্রাপ্ত হন। আমরা পরে সে বিষয়ের উল্লেখ করিব । মুর্শিদকুলী খাঁ কোম্পানীর অবাধ বাণিজ্যের আশা প্রদান করিলেও শেষ পর্য্যন্ত তাহার কোনই মীমাংসা হয় নাই। সেই সময়ে জাহান্দরসহ সিংহাসনে উপবিষ্ট হওয়ায় ও কুলী খাঁ তাহাকে সম্রাট বলিয়। স্বীকার করায় ফরখ সেরের সহিত র্তাহার গোলযোগ উপস্থিত হয়। এরূপ স্থলে কোম্পানীর সনন্দলাভের কোন রূপ আশা নাই দেখিয়া ইংরাজ প্রতিনিধি হেজেস সাহেব কাশীমবাজার পরিত্যাগ করিয়া ১৭১২ খৃষ্টাব্দের জুন মাসে কলিকাতায় আগমন করেন। কোম্পানীও জাহান্দর সাহকে বাদসহ স্বীকার করিয়া নজরাদি পঠাইয়া দেন। তৎপরে ফরথসের কর্তৃক উৎপীড়িত হইয় তাহারা তাহাকে ২২ হাজার টাকা প্রদান করিয়া কোন রূপে নিস্কৃতিলাভে সক্ষম হইয়াছিলেন। ফলতঃ র্তাহাদিগের বাণিজ্যের কোন রূপ বন্দোবস্ত না হওয়ায়, কোম্পানীর কৰ্ম্মচারিবর্গ অত্যন্ত চিন্তাকুল হইয় পড়েন। কোম্পানীর অবস্থা ।

  • তারিখ বাঙ্গল ও রিয়াজুস সালাতন ।