পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

82や মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । প্রদান করা হইয়াছিল। এই সময়ে বাদসাহদরবার হইতে প্রেসিডেন্টের জন্য স্বর্ণখচিত ও খোজা সরহদের জন্ত রৌপ্যখচিত, শিরোপা উপস্থিত হয়। হজবলহুকুম প্রাপ্ত হইয়া ক্ষু যদিও মুর্শিদকুলী খা প্রকাশু ভাবে তাহ অমান্ত করেন নাই, তথাপি তিনি পরোক্ষভাবে কোম্পানীকে সমস্ত অধিকার প্রদান করিতে ইচ্ছুক ছিলেন না। কাশীমবাজারের ব্যবসায়িগণ দেওয়ানের ভয়ে কোম্পানীকে রেশমাদির সরবরাহ করিতে অসম্মত হওয়ায় ও তথায় নানা রূপ গোলযোগ ঘটায়, ১৭১৪ খৃষ্টাব্দের নবেম্বর মাসে কলেট, এজ ও হগার তাহার মীমাংসার জন্ত কাশীমবাজারে প্রেরিত হন। কিন্তু তাহারা বিশেষরূপ কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। দেওয়ানের আদেশে কাশীমবাজারের শুল্ক বিভাগের কৰ্ম্মচারিগণ কোম্পানীর প্রতিনিধিগণের নিকট হইতে শুন্ধের নাম করিয়া মাল ও টাকা আদায় করিয়া লওয়ায় তাহারা অত্যন্ত উত্ত্যক্ত হইয়া পড়েন। যদিও তাহারা শুষ্ক হইতে অব্যাহতি পাইয়াছিলেন,তথাপি দেওয়ানের হস্তে তাহাদের নিস্কৃতি ছিল না । সেই সময়ে ইউরোপে অধিক পরিমাণে মোট রেশমের প্রয়োজন হওয়ায় কাশীমবাজার কুঠার কার্য্য পুনঃ পরিচালনের আবগুক হইয় উঠে এবং ১৭১৫ খৃষ্টাব্দের মে মাসে সামুয়েল ফীকৃ তাহার অধ্যক্ষ, এডওয়ার্ড ক্রিম্প তাঁহার প্রথম ও

  • উক্ত হজবলহুকুমে মুর্শিদকুলী খাকে নায়েব স্ববা বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছিল। সম্ভবতঃ প্রথমে তিনি ফরখ সেরের নিকট হইতে নায়েব সুবা ও পরে বাঙ্গল ও উড়িষ্যার স্ববেকার নিযুক্ত হন। কোম্পানীর কাগজপত্রে ইহার পর হইতে মুর্শিদকুলী থাকে নবাব জাফর র্থ নামে লিখিত দেখা যায়, স্বতরাং তিনি যে ফরখ সেরের নিকট হইতে স্ববেদারী পাইয়াছিলেন তাহাতে সন্দেহ নাই ।