পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৪৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়। ৪১৩ উক্ত অব্দের শেষ ভাগে সৰ্ম্মান ও তাহার সঙ্গিগণ কলিকাতায় উপস্থিত হন। তৎপূৰ্ব্বেই কলিকাতার কৰ্ম্মচারিবর্গ ফাৰ্ম্মান প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। তাহারা মুর্শিদকুলী খাঁর নিকটে ফাৰ্ম্মান দেখাইলে যদিও নবাব তাহ অমান্ত করিতে পারিলেন না, তথাপি তাহার কূট অর্থ করিয়া কোম্পানীর কাৰ্য্যের ব্যাঘাত করিতে আরম্ভ করিলেন। তিনি যদিও অধ্যক্ষের দস্তকানুসারে কোম্পানীর বাণিজ্যের কোন রূপ বিঘ্ন উৎপাদন করিবেন না প্রকাশ করেন, তথাপি টাকশালের ব্যবহারে ও ৩৮ খানি গ্রামের জমীদারীক্রয়ের বাধা প্রদান করিতে লাগিলেন। অবকাশাভাব ও কোম্পানীর বিশেষ প্রয়োজন নাই বলিয়া তিনি তঁহাদিগকে টাকশালের নিকট অগ্রসর হইতে দিলেন না এবং কলিকাতার চারি পাশ্বের জমীদারদিগকে কোম্পানীর নিকট জমীদারী বিক্রয় করিতে গোপনে নিষেধ করিলেন। তৎকালে জমীদারগণ কুলী খার নামে কম্পিত হইতেন, কাজেই র্তাহারা আপনাদের জমীদারী বিক্রয় করিতে সাহসী হইলেন না । ইংরাজের যদি উক্ত ৩৮ খানি গ্রাম ক্রয় করিতে পারিতেন, তাহ হইলে ভাগীরথীর উভয় তীরে পাঁচ ক্রোশ ব্যাপিয়া সমস্ত ভূভাগ তাহদের অধিকারভুক্ত হইত এবং তাহার বুরুজাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়া নৌপথের অদ্বিতীয় অধিপতি হইয়া উঠিতেন। তদ্ভিন্ন তাহাদের জমাদারীর আয় হইতে সমস্ত বিষয়ের ব্যয় নিৰ্ব্বাহ হইতে পারিত। নীতিজ্ঞ কুলী খাঁ এ সমস্ত বিষয় বুঝিতে পারিয়াছিলেন । কোম্পানীর পূৰ্ব্বাপর ব্যবহারে তাহার এইরূপ ধারণা হইয়াছিল যে, ভবিষ্যতে কোম্পানী স্বাতন্ত্র্য অবলম্বনের চেষ্টা করিবেন, এবং সেই সময় হইতেই তাহার উদ্যোগ চলিতেছিল। বিনা শুল্কে বাণিজ্যের সম্বন্ধে নবাব কেবল কোম্পানীকে যে সমস্ত মালপত্র সমুদ্র-পথে আমদানী