পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিক । গ্রহণ করেন। সম্রাট বাহাদুর সাহের মৃত্যুর পর দিল্লীতে গোলযোগ উপস্থিত হইলে শিখগণ পুনৰ্ব্বার বল সঞ্চয় করিয়া মোগল সাম্রাজ্য আক্রমণ করিয়া বসে। সম্রাট ফরখ সেরের রাজত্বসময়ে ১৭১৬ খৃষ্টাব্দে কাশ্মীরের শাসনকৰ্ত্ত আবদুল সমদ খাঁ শিখদিগের বিরুদ্ধে প্রেরিত হইয়া কয়েকটা যুদ্ধের পর শিখদিগকে পরাজয় করিতে সমর্থ হন, এবং বন্ধু ও তাহার অনুচরবর্গকে বন্দী করেন । বন্ধু ৭৪০ জন শিখসহ দিল্লীতে প্রেরিত হইলে, তথায় তাহাদিগকে নির্দয়রপে হত্যা করা হয় । নাদির সাহের আক্রমণসময়ে শিখের আর এক বার মোগলসাম্রাজ্য আক্রমণ করে, কিন্তু সেবারেও তাহারা পরাজিত হয়। তাহার পর ১৭৬২ খৃষ্টাব্দে আমেদ খাঁ দুরানী শিখদিগের প্রতি ঘোরতর অত্যাচার করেন। তাহাদিগের প্রধান স্থান অমৃতসহর আক্রমণের পর তাহাদের ধৰ্ম্মমন্দির ভঙ্গ, পুষ্করিণী ও অন্তান্ত স্থান কর্দম ও গোরক্তে কলুষিত, এবং বহু সংখ্যক শিখযোদ্ধার প্রাণনাশ করিয়া শিখজাতিকে হীনবীৰ্য্য করিয়া ফেলেন। ইহার পর পুনৰ্ব্বার শিখগণ ক্রমে ক্রমে আপনাদের প্রভুত্ব বিস্তার করিতে আরম্ভ করে, ও পরিশেষে উনবিংশ শতাব্দীতে মহারাজা রণজিত সিংহের সময়ে তাহার ভারতবর্ষে অজেয় হইয় উঠে। রণজিত সিংহ ১৭১৯ খৃষ্টাব্দে আফগানদিগের নিকট হইতে লাহোর বন্দোবস্ত করিয়া লন। পরে ক্রমে ক্রমে সমস্ত পঞ্জাব, পেশওয়ার ও কাশ্মীর প্রভৃতি আপনার অধিকারভুক্ত করিয়া ফেলেন। রণজিতের মৃত্যুর পর তাহার উত্তরাধিকারিগণের ক্ষমতা হ্রাস হওয়ায় শিখসর্দারগণ দরবারের কৰ্ত্ত হইয় উঠেন, এবং সেই সময়ে ইংরাজের সহিত শিখগণের ঘোরতর যুদ্ধ উপস্থিত হয়। গবর্ণর জেনেরাল