পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8(tWり মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । প্রতিবাদী বা আসামীর নামে দারোগার মোহর ও স্বাক্ষারযুক্ত পরও য়ান সেরেস্ত হইতে পদাতিকের দ্বারা গ্রামের মণ্ডলের নিকট পাঠান হইত। দূরস্থ ব্যক্তিগণকে উপস্থিত করার জন্য জমীদারদিগের উকীলেরা আদিষ্ট হইতেন। অসমর্থ হইলে এবরানামায় তাহদিগকে লিথিয়া জানাইতে হইত। পরে পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে মওলগণের প্রতি তাহাদেরও পরওয়ানা যাইত। মণ্ডলেরা তাহাদিগকে ধাৰ্য্য দিনে উপস্থিত করার জন্য জামিন লইয়া ছাড়িয়া দিতেন। জটিল মোকৰ্দমায় নাজিম কাজী, মুফতী প্রভৃতির পরামর্শ গ্রহণ করিতেন। নরহত্যার মোকৰ্দমার ভার নাজিম স্বয়ংই লইতেন। অনেক মোকৰ্দমা সালিসের হস্তেও অর্পিত হইত। বাদী প্রতিরাদীরা আপনাপন সাক্ষী লইয়া যাইত। কোন জমীদার বা তালুকদারকে জমীদারী হইতে বঞ্চিত করিতে হইলে নাজিম তজ্জন্ত খালসার দেওয়ানের সহিত পরামর্শ করিতেন। মুর্শিদাবাদ ব্যতীত ঢাকা ও উড়িষ্যায় নায়েব নাজিমী আদালত প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, নিজামত আদালতের দ্যায় তথায়ও বিচারকার্য্য সম্পন্ন হইত। নরহত্য, ডাকাইতী, রাহাদানী প্রভৃতির জন্য প্রাণদণ্ডেরও ব্যবস্থা ছিল। সাধারণতঃ শূলে চড়াইয়া দেওয়া হইত। লোষ্ট্র ও তীর নিক্ষেপে বধ প্রভৃতিও প্রচলিত ছিল। কোন কোন অপরাধে অঙ্গহানি করাও হইত। নরহত্যা ব্যতীত কোন কোন অপরাধে অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইংরাজী আইনেও প্রাণদণ্ডের আদেশ ছিল। জাল করার জন্ত ফণসী দেওয়া তাহার প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। দেওয়ানী আদালতের বিচার ভার খালসার দেওয়ানের উপর নির্ভর করিত ! পরে উক্ত আদালতে দারোগাও নিযুক্ত হইয়াছিলেন। জমীদারগণের সীমা সরহদ ও প্রজাদিগের বাকী খাজান প্রভৃতির বিচার