পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় । 용C সাধারণতঃ এই আদালতেই হইত। তদ্ভিন্ন সাধারণ হিন্দু প্রজার দায়ভাগ ও উত্তরাধিকারের নিষ্পত্তিও এই আদালত হইতে সম্পন্ন হইতে দেখা যাইত। দারোগ অভিযোগাদি শ্রবণ করিয়া দেওয়ানের । নিকট মন্তব্য পাঠাইতেন, দেওয়ান শেষ আদেশ দিতেন। দায় ও উত্তরাধিকারসম্বন্ধে পণ্ডিতগণের ফতোয় বা ব্যবস্থা লওয়া হইত। বাদী প্রতিবাদীকে উপস্থিত করার প্রথা নিজামত আদালতের ন্তায়ই ছিল। বাঙ্গলায় যে আর্জি দাখিল হইত, তাহাকে ভাষা ও তাহার জবাবকে ভাষোত্তর বলিত। জমীদার ও তালুকদারদিগের বিচারের শেষ নিম্পত্তি বা আপীল দেওয়ানী আদালতেই হইত। কাজী আদালতে সদরস সদুর বা এক জন প্রধান কাজী বিচার করিতেন। মুসলমান ধৰ্ম্ম ও মুসলমানগণের উত্তরাধিকার, ওয়াসিয়ৎ (উইল), তেলিয়ত (ন্যাস), হেবা বা দান, ক্রয়বিক্রয়, হস্তান্তর প্রভৃতির বিচার কাজীর আদালতে হইত। পূৰ্ব্বে কাজীর হন্তে ফৌজদারী বিচারেরও ভার ছিল, পরে নাজিম সে ভার স্বয়ং গ্রহণ করেন। মফঃস্বলেও স্থানে স্থানে কাজীর আদালত ছিল । ফৌজদারী আদালতে ফৌজদারই বিচার করিতেন। চৌর্য্য, শাস্তিভঙ্গ প্রভৃতি সামান্ত সামান্ত ফৌজদারী মোকৰ্দমা তাহাকে করিতে হইত। নরহত্যা প্রভৃতির গুরুতর অভিযোগ তিনি প্রথমে শ্রবণ করিয়া নিজামত আদালতে সোপর্দ করিতেন। মফঃস্বলের ফৌজদারগণ নাজিমের আদেশে কখনও কখনও তাহারও বিচার করিতে পারিতেন। অপরাধীর প্রাণদণ্ডাদির বিধান ফৌজদারকে কাৰ্য্যে পরিণত করিতে হইত। ফৌজদারও কাজী, মুফতী প্রভৃতির পরামর্শ লইয়া কাৰ্য্য করিতেন। ফৌজদারী আদালত এক রূপ নিজামত আদালতেরই অধীন ছিল । ीं