পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\ు: মুর্শিদাবাদের ইতিহাস। হইয়া উঠিয়াছে * । এই তোপের নাম "জাহানকোষ” বা জগজ্জয়ী। জাহানকোষ দৈর্ঘ্যে ১২ হস্ত হইবে, বেড় ৩ হস্তেরও অধিক, মুখের বেড়টা ১ হস্তেরও উপর, অগ্নিসংযোগ ছিদ্রের ব্যাস ১॥ ইঞ্চ হইবে। এই সুবিশাল কামানটা ঢাকা হইতে আনীত হইয়াছিল। তোপখান হইতে অন্যান্ত কামানবন্দুকাদি স্থানান্তরিত হইলে, জাহানকোষ অনেকদিন পর্য্যন্ত ভূতলে নিপতিত থাকে, পরে তাহার পার্শ্বে এক অশ্বখ বৃক্ষ জন্মিয়া ইহাকে ভূপৃষ্ঠ হইতে কতকটা উদ্ধে উত্তোলন করিয়াছে। জাহানকোষার গাত্রে ৯ খণ্ড পিত্তল ফলকে ফারসী ভাষায় ইহার বিবরণ লিখিত আছে। তন্মধ্যে ৩ খণ্ড বৃক্ষের কাণ্ডমধ্যে প্রবিষ্ট হইয়াছে, অবশিষ্ট খণ্ডকয়খানির অক্ষরও অস্পষ্ট হইয়া পড়িয়াছে। পিত্তল ফলকে এইরূপ লিখিত আছে যে, এই জাহানকোষী সাজাহানের রাজত্বকালে ও ইসলাম খার সুবেদারী সময়ে জাহাঙ্গীরনগরে দারোগ সের মহম্মদের অধীনে হরবল্লভ দাসের তত্ত্বাবধানে জনাৰ্দ্দন কৰ্ম্মকার কর্তৃক ১০৪৭ হিজরী, ১১ই জমাদিয়সসানি মাসে নিৰ্ম্মিত হইল । ইহার ওজন ২১২ মণ, ২৮ সের বারুদ লাগিয়া থাকে। জাহানকোষাকে সাধারণলোকে এক্ষণে পূজা করে) নিজামত কেল্লার অস্ত্রাগারে অনেক কামান, বন্দুক ও অস্ত্রশস্ত্রাদি সুন্দর রূপে রক্ষিত আছে। তাহার মধ্যে অনেকগুলি ঐতিহাসিক ঘটনার সহিত সম্বদ্ধ বলিয়া শুনা যায়।

  • শুনা যাইতেছে জাহনকোষ তোপ কলিকাতার প্রস্তাতুি ভিক্টোরিয়৷ স্মৃতি-মন্দিরে আনীত হইবে ।