পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতারণিক । , "දාළු করেন, পরে তথা হইতে মোগলদিগের সহিত যোগ দেন । ১৭১৩ খৃষ্টাব্দে নিজাম-উল মুল্ক দাক্ষিণাত্যের শাসনকর্তা নিযুক্ত হইয়া আসেন । মোগলদিগের সহিত মহারাষ্ট্রীয়গণের বিবাদ পূর্ণমাত্রায় উপস্থিত হয়। বিশ্বনাথ আপনার ক্ষমতাবলে মহারাষ্ট্রীয়গণের মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান হইয় উঠেন । তিনি সাহুর মন্ত্রিত্ব প্রাপ্ত হইয়া অচিরাং পেশওয়া বা সৰ্ব্বপ্রধান রাজকৰ্ম্মচারীর পদে অভিষিক্ত হন । পেশওয়াপদ পরে বংশগত হইয়া পড়ে। শিবাজীর বংশীয় রাজগণের তাদৃশ ক্ষমতা না থাকায় পেশওয়াগণই মহারাষ্ট্রীয়দিগের প্রকৃত নেতা হইয়া উঠেন। নিজামের স্থলে সৈয়দ হোসেন খাঁ দাক্ষিণাত্যের সুবাদার হইয়া আসিলে তিনি মহারাষ্ট্রীয়গণের অত্যাচারে প্রপীড়িত হইয়া সাহুর সহিত সন্ধি বন্ধন করিয়া দিল্লী প্রস্থান করেন। ১৭২৩ খৃষ্টাব্দে বিশ্বনাথের মৃত্যু হইলে তাহাঁর পুত্র বাজীরাও পেশওয়ার পদ প্রাপ্ত হন । নিজামউল-মুল্ক, হায়দরাবাদের নিকটস্থ স্থানের চৌথ গ্রহণ না করার জন্ত প্রতিনিধি শ্ৰীপতরাওএর দ্বার সাহুর সহিত বন্দোবস্তের চেষ্টা করেন, কিন্তু পেশওয়া বাজীরাও তাহা করিতে দেন নাই। ইহার পর নিজাম কোলাপুর ও সেতারার মধ্যে বিবাদ বাধাইয়া মহারাষ্ট্রীয়গণের প্রভুত্বহাসের চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহাতে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই । বাজীরাও এর কার্য্যতৎপরতায় তাহার সকল চেষ্টা ব্যর্থ হুইয়া যায় । নিজাম অবশেষে সেতীয়াপক্ষের সহিত সন্ধি করিতে বাধ্য হন। পরে ১৭৩০ খৃষ্টাব্দে সেতারা ও কোলাপুরের মধ্যে সন্ধি স্থাপিত হয়। ইহার পর বাজীরাও মালব ও গুর্জর অধিকার করিয়া বসেন। এই সময়ে সমুলী ভোসেলা ও মলহররাও হোলকার প্রভৃতি কয়েকজন মহা