পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\88 মুর্শিদাবাদের ইতিহাস। রাষ্ট্রীয় প্রধান আপনাদিগের ক্ষমতাবিস্তারের চেষ্টা করিতেছিলেন। সলহররাও আগরাপ্রদেশ আক্রমণ করিয়া বসেন । বাজীরাও এর প্রভাব বিস্তৃত হওয়ায় সম্রাট মহম্মদ সাহ তাহার বিরুদ্ধে সৈন্তপ্রেরণের চেষ্টা করেন। সেই সময়ে ১৭৩৬ খৃষ্টাব্দে মহারাষ্ট্রীরের অযোধ্যার মবাব সাদৎ খাকর্তৃক পরাজিত হওয়ায় বাজীরাও একেবারে দিল্লীর নিকট আসিয়া উপস্থিত হন। কয়েকটা যুদ্ধের পর যখন তিনি শুনিতে পান যে, সম্রাটের বিপুল সৈন্ত অগ্রসর হইতেছে, তখন তিনি গোয়ালিয়রাভিমুখে প্রস্থান করেন, অবশেষে মালব ও ১৩ লক্ষ টাকা প্রাপ্ত হইয়া কঙ্কনপ্রদেশে উপস্থিত হন । নিজামকে দমন করিতে পুনৰ্ব্বার তাহাকে মালবে আগমন করিতে হয় । ইহার পর রঘুজী ভোসেলার সহিত পেশওয়ার বিবাদ বাধিয়া উঠে। এই সময়ে নাদির সাহা ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন। ১৭৪০ খৃষ্টাব্দে বাজীরাওএর মৃত্যুর পর তাহার পুত্র বালাজী বাজীরাও পেশওয়ার পদে প্রতিষ্ঠিত হন। রঘুজী ভোসেল বালাজী বাজীরাওএর বিপক্ষতাচরণ করিয়া কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। নাগপুর রঘুজীর রাজধানী হওয়ায়, তিনি সহজে বাঙ্গালা আক্রমণে কৃতকার্য্য হইবেন এই ভরসায়, স্বীয় দেওয়ান ভাস্কর পত্তকে বাঙ্গালায় পাঠাইয়া দেন। ভাস্কর ১৭৪২ খৃষ্টাব্দে নবাব আলিবর্দি খীর সৈন্তদিগকে পরাস্ত করির অবশেষে নিজে পরাজিত হইয়া বাঙ্গালী পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হন। ইহার পর রমুজী নিজেই বাঙ্গালী আক্রমণ করেন- কিন্তু সেই সময়ে বালাজী বাজীরাও বিহারে উপস্থিত হওয়ায় নবাব আলিবর্দি খাঁ তাহার সাহায্যে রঘুজীকে বাঙ্গাল হইতে বিতাড়িত করেন। ১৭৪৪ খৃষ্টাব্দে ভাস্কর পন্ত পুনৰ্ব্বার বাঙ্গালীয় উপস্থিত্ত হইলে আলিবর্দি খার