পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8సెకి মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । কাননগোর কার্য্যও করিতেন বলিয়া শুনা যায়। শ্ৰীমন্ত আপনার সম্পত্তি পুত্র ও কস্তার মধ্যে সমভাগে বিভাগ করিয়া দেন, কিন্তু অল্প বয়সে র্তাহার পুত্রের মৃত্যু হইলে দৌহিত্র শুকদেব ঘোষ সমস্ত সম্পত্তির অধিকারী হন। শুকদেবের পিতা হরিরাম ঘোষ বৰ্দ্ধমানের মনোহরসাহীতে বাস করিতেন। যে সময়ে দিনাজপুরের জমীদারগণ প্রবল হইয় উঠেন, তাহার পূর্ব হইতে ইদ্রাকপুর বা বৰ্দ্ধনকুঠীর জমীদারগণ উক্ত প্রদেশের প্রধান জমীদার বলিয়া বিখ্যাত ছিলেন। এই সময়ে প্রাচীন আরঙ্গাবাদ বা দিনাজপুর প্রদেশের অনেক ভূভাগ উভয় জমীদারীর অন্তর্নিবিষ্ট হয়। শুকদেবের পুত্র প্রাণনাথ রাজ উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। প্রাণনাথ কান্তনগরের সুপ্রসিদ্ধ মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন, কিন্তু তাহার দত্তক পুত্র রাজা রামনাথের সময় তাহার নিৰ্ম্মাণ শেষ হয়। কুলী খার রাজত্বের শেষ ভাগে রামনাথের সহিত দিনাজপুর জমীদারীর বন্দোবস্ত হইয়াছিল। রামনাথ প্রচুর অর্থের অধীশ্বর ছিলেন। সময়ে সময়ে সরকারের প্রয়োজনানুসারে অর্থের সরবরাহ করিতেন বলিয়া, তাহার জমীদারী আমীন বা ক্রোকসাজোয়ালের হস্তে পড়ে নাই । দিনাজপুররাজ অন্তান্ত জমীদার অপেক্ষ এই নুতন অধিকার লাভ করিয়াছিলেন । এইরূপ কথিত হয় যে, রামনাথ ভূগর্ভে প্রোথিত বহু অর্থ লাভ করিয়াছিলেন। কিন্তু তিনি স্বীয় জমীদারীর স্ববন্দোবস্ত ও কৃষিকার্য্যের উন্নতি করিয়া প্রচুর সম্পত্তির অধীশ্বর হইয়াছিলেন বলিয়া অনুমান হইয়া থাকে। দিনাজপুর জমীদারী বিস্তৃত হইলেও, তাহাতে অনেক পতিত ও অনাবাদী জমী ছিল, রামনাথ সেই সমস্ত জমীর চাষের সুন্দর রূপ ব্যবস্থা করিয়াছিলেন বলিয়া, তাহার সময়ে দিনাজপুর জমীদারীর অত্যন্ত উন্নতি হয়।