পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় । 8፭)ጫ দিনাজপুর জমীদারীতে চাকলা ঘোড়াঘাটের আপোল, বৃদনগর, ’ খিলাবাড়ী, হাবিলী পিজর, ফতেজঙ্গপুর, পুরুষবল, আঁধুয়, বেরবেল্লা ইত্যাদি এবং চাকলা আকবরনগরের দেবহাট, মেকম্বন, মেহেদীমাঠ প্রভৃতি পরগণা অনুভূক্ত হইয়াছিল। তাহার পরগণার সংখ্যা ৮৯, ও ৪, ৬২,৯৬৪ টাকা তাহার জমা ধাৰ্য্য হয়। বৰ্দ্ধমান, হুগলী বা সাতগা, যশোহর, ভূষণ ও ঘোড়াঘাট চাকলায় নদীয়া, উখড়া, বা কৃষ্ণনগর জমীদারী 8 অবস্থিত ছিল। এই জমীদারী হইতে ধান্ত, নদীয়া । নানা প্রকার কলায়, তুলা, গুড়, লঙ্ক, প্রভৃতি উৎপন্ন হইত। শান্তিপুর, নদীয়া, বুড়ন প্রভৃতি ইহার প্রধান স্থান ছিল বলিয়া কথিত হইয়া থাকে। কৃষ্ণনগর এই জমীদারীর রাজধানী। কৃষ্ণনগর রাজবংশীয়ের রাজা আদিশূরের সময়ে বঙ্গদেশে আগত ক্ষিতীশের পুত্র ভট্টনারায়ণের বংশধর। ভট্টনারায়ণের সময় হইতে র্তাহারা ভূসম্পত্তির অধিকার লাভ করিয়া ক্রমে ক্রমে তাহার আয়তন বৰ্দ্ধিত করিয়া তুলেন। নদীয় রাজবংশ তাহদের আদিপুরুষ দুর্গাদাস সমদার বা ভবানন্দ মজুমদার হইতে দেশ মধ্যে প্রসিদ্ধি লাভ করিতে আরম্ভ করেন। দুর্গাদাস কাননগোর কার্য্য করিয়া ভবানন্দ মজুমদীর উপাধি লাভ করিয়াছিলেন। ভবানন্দ মজুমদার যশোহররাজ প্রতাপাদিত্যের দমনের জন্ত রাজা মানসিংহকে অনেক প্রকারে সাহায্য করিয়া মহৎপুর, নদীয়া, মারূপদহ প্রভৃতি ১৪ পরগণার জমীদারী প্রাপ্ত হন। তাহার কয়েক বর্ষ পরে আবার বাদসাহের অনুগ্রহে উখড়া, ভালুক, ইস্মাইলপুর, ইসলামপুর প্রভৃতি পরগণার জমীদারী পাইয়াছিলেন। ক্রমে নদীয়া জমীদারীর আয়তন বঙ্কিত হইতে আরম্ভ হয়। ভবানন্দের পৌত্র রাঘব রেউই গ্রামে আপন