পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৫৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় । (te a পুত্ৰ মনোহর সামুজার সুবেদারী সময়ে বর্তমান ছিলেন। সেই সময়ে মধু সিংহ নামে এক ব্যক্তি উক্ত ৯ আনার ৫ আনা অধিকার করে। মনোহর তাহার উদ্ধারের জন্ত দিল্লী যাত্রা করিতে বাধ্য হন। পরে তাহার পুত্র রঘুনাথ বাদসহ আরঙ্গজেবের নিকট হইতে র্তাহার রাজত্বের একাদশ বর্ষে ১৬৬৯ খৃষ্টাব্দে সনন্দ লাভ করেন। উক্ত সনন্দে মধু সিংহের উচ্ছেদের ও রঘুনাথকে সমগ্র জমীদারী দেওয়ার কথা উল্লিখিত থাকে। সেই সময়ে কুঙী, সেরপুর, পলাশী প্রভৃতি পরগণা এই জমীদারীর অন্তর্গত ছিল। রঘুনাথের পর তৎপুত্র রামনাথ জমীদার হন। রামনাথের পুত্র হরিনাথ বাদসহ আরঙ্গজেবের রাজত্বের সপ্তদশ বর্ষে ১৬৭৫ খৃষ্টাব্দে আর এক সনন্দ লাভ করেন । তৎপুত্র বিশ্বনাথের সহিত ইদ্রাকপুর জমীদারীর নূতন বন্দোবস্ত হয়। বিশ্বনাথ মুজ খাঁর সময়ে বিদ্যমান ছিলেন। প্রাচীন ঘোড়াঘাট নগর ইদ্রাকপুরের অন্তর্গত ছিল। বিশ্বনাথের পুত্র গৌরীনাথ কোম্পানীর সময়ের জমীদার বলিয়া উক্ত হইয়া থাকেন। ইদ্রাকপুর জমীদারীর মধ্যে চাকলা ঘোড়াঘাটের অন্তর্গত ইদ্রাকপুর, ইসলামপুর, আলিগঞ্জ, বাজিতপুর, বাড়ী ঘোড়াঘাট, গীটনান, থেলশী, মুক্তিবপুর, বিন্দী, বেলঘাট, ভায়েনকুণ্ড, সেরপুর-কানবালা, সেরপুর-নওয়াবাদ প্রভৃতি পরগণাই প্রধান। সমস্ত ৬০ পরগণায় ৮১, ৯৭৫ টাকা জমা ধাৰ্য্য হইয়াছিল। ত্রিপুরার রাজগণ প্রাচীন কাল হইতে স্বাধীন রাজ্যের নরপতি ছিলেন। কিন্তু খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে র্তাহারা > 8 কিয়ৎপরিমাণে আরাকানরাজ ও মোগল জিপুর } সম্রাটের বগুত স্বীকার করিয়াছিলেন। পরে সাজাহানের রাজত্বকালে সামুজার সুবেদারী সময়ে ত্রিপুরারাজ্যের কতকাংশ