পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प्रश्रम छाथjांश । @Say চারীর পদ প্রদান করেন, এবং তাহার অধীনস্থ আফগানগণ র্তাহার সৈন্তের সহিত মিলিত হইয়া যায়। তিনি আবদুল করিমের সাহায্যে দস্যগণকে সম্পূর্ণ রূপে দমন করিয়া তাহাদিগের নিকট হইতে যাবতীয় লুষ্ঠিত দ্রব্য পুনগ্রহণ করেন। পরে জমীদারগণকে বশে আনয়ন করিয়া, তাহদের নিকট হইতে সমস্ত অনাদায়ী রাজস্ব গ্রহণ করিয়া নজরানা ও পেস্কশরূপে অনেক অর্থ সংগ্রহে প্রবৃত্ত হন। এই রূপে নানাবিধ উপায়ে তাহার রাজকোষ অর্থে পরিপূর্ণ হইয় উঠে, এবং তাহার সৈন্তগণও লুণ্ঠন দ্বারা যথেষ্ট ধন উপার্জন করে। আলিবর্দীর কার্য্যদক্ষতার জন্য নবাবের অনুরোধক্রমে বাদসাহ র্তাহাকে সৈন্ত সংখ্যা বৃদ্ধির আদেশ প্রদান করেন। বিহার প্রদেশে ক্রমে শাস্তি সংস্থাপিত হইলে, আলিবর্দী আবদুল করিমের বৰ্দ্ধিত প্রতাপে অত্যন্ত ভীত ও তাহার প্রতি ঈর্ষ্যাপরায়ণ হইয়া উঠেন। অবশেষে একটা ছল ধরিয়া তিনি আবদুল করিমের প্রাণদণ্ডের আদেশ দেন। সাধারণের নিকট এই রূপ প্রকাশ করিয়াছিলেন যে, আবদুল করিমের অবাধ্যতার জন্য তাহার প্রাণদণ্ডের আদেশ প্রদত্ত হয়, কিন্তু তাহার ক্ষমতার জন্য তিনি যে ঈর্ষ্যপরায়ণ হইয় এই রূপ ঘৃণিত ব্যাপারের অবতারণা করিয়াছিলেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। আলিবদাঁচরিত্র এই রূপ আরও দুই একটী ঘটনায় কলঙ্কিত হইয়াছিল। আমরা যথা স্থানে তাহার উল্লেখ করিব। এই রূপে নিষ্কণ্টক হইয়া আলিবর্দী খাঁ ক্রমে বিহারের একাধীশ্বর হইয়া উঠেন। খৃষ্টীয় ১৭১৭ অব্দে কতিপয় অষ্ট্রীয় নেদারলওবাসী পূৰ্ব্বাঞ্চলে বাণিজ্যব্যাপারে লাভবান হওয়ার ইচ্ছায় দুই খানি জাহাজ ভারতবর্ষাভিমুখে প্রেরণ করেন। জাহাজ দুই খানি নিৰ্ব্বিঘ্নে আসিয়া উপস্থিত হয়। এই অষ্টেণ্ড কোম্পানী ।