পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? &8 মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । করিতে পারিবেন । সায়েস্তা খার সময়ে উক্ত হারে চাউল বিক্রীত হইত। যশোবন্ত রায় সায়েস্তা খার নির্দেশানুযায়ী তাহার সময় অপেক্ষা এক সের চাউল টাকায় অধিক বিক্রয় করা নির্দেশ করিয়া, উক্ত দ্বার উন্মুক্ত করিতে আদেশ দেন। এই রূপ সুবিবেচনার সহিত শাসনকাৰ্য্য পরিচালিত হওয়ায়, ঢাকা প্রদেশের যাবতীয় ভূভাগ কর্ষণোপযোগী হইয়া উঠিল। এবং অধিবাসিগণ অত্যন্ত মুখস্বাচ্ছন্দ্যে সময় অতিবাহিত করিতে লাগিল। সরফরাজ খ। ঘালেব আলি ও যশোবন্ত রায়ের উপর অত্যন্ত সস্তুষ্ট হইলেন । তাহাদিগের প্রশংসা চতুর্দিকে বিস্তৃত হইয়া পড়িল , কিন্তু অধিক দিন এরূপ ভাবে অতিবাহিত হইতে পারিল না । নবাব বাৰ্দ্ধক্য দশায় উপনীত হওয়ায়, সরফরাজের উপর সমস্ত ভার অর্পণ করিয়া, হাজী আহম্মদ ও অন্তান্ত মন্ত্রিবর্গের পরামর্শেকাৰ্য্য করিতে উপদেশ দেন। কিন্তু সরফরাজ তাহার সে উপদেশে তাদৃশ মনোযোগ না করায়, হাজীর সহিত ক্রমশঃ তাহার মনোবিবাদ উপস্থিত হয়। তিনি নিজের ইচ্ছামত যাবতীয় কাৰ্য্য করিতে লাগিলেন। স্বীয় ভগিনী নফিসা বেগমের অনুরোধক্রমে সরফরাজ ঘালেব আলিকে ঢাকা হইতে স্থানান্তরিত করিয়া. মোরাদ আলির হস্তে শাসনভার অর্পণ করেন। মোরাল রাজবল্লভকে নৌবিভাগের পেস্কার নিযুক্ত করিয়া ছিলেন। মোরাদ অত্যন্ত অত্যাচার করিতে প্রবৃত্ত হন। যশোবন্ত রায় পূৰ্ব্বে অত্যন্ত প্রশংসা লাভ করিয়া এক্ষণে দুর্নামের ভাগী হইতে অনিচ্ছুক হইয়া, কাৰ্য্য পরিত্যাগপূর্বক মুর্শিদাবাদে আগমন করেন। যশোবন্ত ঢাকা পরিত্যাগ করিলে উক্ত প্রদেশে যারপরনাই অত্যাচার উপস্থিত হয়, এবং ক্রমে ক্রমে দারিদ্র্য ও ধ্বংস অগ্রসর হইয়া ঢাকাগ্রদেশে হাহাকার আনয়ন করে ।