পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gv মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । ছিল। সদতের বংশে এক মাত্র চাদ সাহেব জীবিত ছিলেন । ১৭৪৮ খৃষ্টাব্দে নিজামের মৃত্যু হয়। ডিউল্পে আপন প্রভুত্ব বিস্তারের ইচ্ছায় চাদ সাহেবকে কর্ণাটের সিংহাসনে স্থাপনের জন্য চেষ্টা করিতে আরম্ভ করেন। মহারাষ্ট্রীয়দিগের আক্রমণের সময় দোস্ত আলির পরিবারবর্গ জীবন ও সন্মানরক্ষার্থ পণ্ডিচেরীতে প্রেরিত হন । ডিউপ্লে চাদ সাহেবের স্ত্রী ও পুত্রকে অত্যন্ত যত্বের সহিত রক্ষা করিয়াছিলেন, পরে তিনি বহু অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতিতে মহারাষ্ট্রীয়দিগের নিকট হইতে চাদ সাহেবকে মুক্ত করিয়া লন। নিজামের মৃত্যুর পর তাহার দ্বিতীয় পুত্র নাজিরজঙ্গ ও দৌহিত্র মজঃফরজন্ধের মধ্যে বিবাদ উপস্থিত হয়। নিজাম স্বীয় দৌহিত্রকে নাকি উত্তরাধিকারী নির্দেশ করিয়া যান। নাজিরজঙ্গ আপনাকে সুবাদার বলিয়া ঘোষণা করিলে মজঃফরজঙ্গ তাহার বিরুদ্ধাচরণে প্রবৃত্ত হইয়া চাদ সাহেব ও ফরাসীদিগের সহিত মিলিত হন। ১৭৪৯ খৃষ্টাব্দে তাহার প্রথমতঃ কর্ণাট আক্রমণ করিয়া আনোয়ার উদ্দীনকে হত্যা ও তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে বন্দী করিলে, আনোয়ারের দ্বিতীয় পুত্র মহম্মদ আলি ত্রিচিন্নাপল্লীতে পলাইয়া যান। মহম্মদ আলি পূৰ্ব্বে ত্রিচিন্নাপল্লীর শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন। ইহার পর মজঃফরজঙ্গপ্রভৃতি তাঞ্জেীর আক্রমণ করেন। তাহাদিগকে দমন করার জন্ত নাজিরজঙ্গকে প্রস্তুত হইতে হয়। ডিউপ্লে চাদ সাহেব ও মজঃফরজঙ্গকে সাহায্য করিলেও নাজিরজঙ্গের সহিত সন্ধি স্থাপনের চেষ্টায় ছিলেন । কিন্তু ইংরাজুদিগের পরামর্শক্রমে নাজির তাহাতে সম্মত হন নাই। ১৭৪৭ খৃষ্টান্ধ হইতে ইংরাজের নিজাম ও নাজিরের সহিত ফরাসীদিগের বিরুদ্ধে পরামর্শ