পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৭১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অধ্যায় । や>。 দিয়াছিলেন। লাউসেন কলিঙ্গ, অমলা, বিমলা ও কানড়া নামে চারি রাজকন্যাকে বিবাহ করেন। পরে তিনি পিতৃশক্র ইছাইএর প্রাণবধ করিয়া পিতার অপমানের প্রতিশোধ লন । ইহার পর গৌড়েশ্বর ধৰ্ম্মপূজার ইচ্ছা করিলে, গৌড়ে ধৰ্ম্মরাজের মাহাত্ম্যবিস্তারের জন্ত লাউসেন তপস্যা করিতে হাকন্দে গমন করেন। তথায় কঠোর তপস্যা করিয়া তিনি ধৰ্ম্মের অনুগ্রহলাড়ে ও ধৰ্ম্মমাহাত্ম্যবিস্তারে সক্ষম হন। যৎকালে লাউসেন ধৰ্ম্মরাজের তপস্যা করিতেছিলেন, সেই সময়ে তাহার মাতুল মহামদ ময়নাগড় অধিকার করার জন্ত সসৈন্তে যাত্র করেন। রাণী কলিঙ্গ সেই যুদ্ধে জীবন বিসর্জন দেন। পরে রাণী কানড়ার যুদ্ধে মহামদ পরাস্ত হন। অবশেষে মহামদ নিজ পাপের উপযুক্ত দণ্ড প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। তাহাকে একরূপ নিৰ্ব্বংশ হইতে হইয়াছিল। মর্ত্যে ধৰ্ম্মমাহাত্ম্যপ্রচারের পর লাউসেন দিব্যরথে আরোহণ করিয়া বৈকুণ্ঠে গমন করেন। লাউসেনের উপাখ্যান অবলম্বন করিয়া ঘনরাম ধৰ্ম্মমঙ্গল রচনা করিয়াছেন। কিন্তু তাহার পুৰ্ব্বে অনেক গুলি ধৰ্ম্মমঙ্গলের পরিচয় পাওয়া যায়। রমাই পণ্ডিতের পদ্ধতি, হাকন্দ পুরাণ প্রভৃতি গ্রন্থে এবং ময়ূরভট্ট, রামচন্দ্র, মাণিক গাঙ্গুলী, খেলারাম, সীতারাম, রামদাস, রূপরাম প্রভৃতির ধৰ্ম্মমঙ্গলাদি গ্রন্থ ঘনরামের পূৰ্ব্বে রচিত হইয়াছিল, এবং ঐ সমস্ত গ্রন্থে ধৰ্ম্মমাহাত্ম্যও বিস্তৃত হইয়াছে। ঘনরাম ময়ূরভট্টের পথ অনুসরণ করিয়া স্বীয় গ্রন্থ রচনা করেন বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু তাহার নায়ক নায়িকার আখ্যায়িকা রামচন্দ্র, মাণিক গাঙ্গুলী ও রূপ রামের গ্রন্থেও দেখিতে পাওয়া যায়। ইছাই ঘোষ ও লাউসেন ঐতিহাসিক ব্যক্তি বলিয়া বোধ হয়। বীরভূমের অজয় নদের