পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৭২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অধ্যায় । やミ* যশোমণ্ড উভরে শক্তি-উপাসক ছিলেন, এবং তাছার সাধক বলিয়া সকলের নিকট কীৰ্ত্তিত হইয়া থাকেন। গ্রন্থকার অদ্যান্য দেব দেবীর সহিত চৈতন্তের বন্দনাও করিয়াছেন। ধৰ্ম্মমঙ্গলের দ্যায় শিবায়নও সাম্প্রদায়িক ভাবে দুষ্ট নহে। শিবসঙ্কীৰ্ত্তন ব্যতীত রামেশ্বরের প্রণীত সত্যপীরের কথা আছে। সত্যনারায়ণ সে কালে মুসন্মানের পীর ও হিন্দুর দেবতা বলিয়া পূজিত হইতেন। যদুপুর বাসকালে তাহার উক্ত গ্রন্থ রচিত হয়। এই সমস্ত গ্রন্থকারের রচিত গ্ৰন্থ হইতে আমরা জানিতে পারি যে, কিরূপে অষ্টাদশ শত{দীতে শক্তিমাহাত্ম্য বাঙ্গাল সাহিত্যের প্রধান স্থান অধিকার করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। সঙ্গে সঙ্গে বৈষ্ণব ও চৈতন্তমহাস্থ্যেরও প্রচার দেখিতে পাওয়া যাইত। কেবল তাঁহাই নহে, অষ্টাদশ শতাবীর প্রথম ভাগে আমরা চৈতন্যভক্ত দুই এক জন বৈষ্ণব গ্রন্থকার ও পদকৰ্ত্তার পরিচয় পাইয়া থাকি, বঙ্গসাহিত্য র্তাহীদের দ্বারাও পরিপুষ্ট হইয়াছে। সেই দুই এক জন আবার রাজধানী মুর্শিদাবাদের নিকটই জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বৈষ্ণব মাহাত্ম্য প্রবল থাকিলেও সেই সময় হইতে তাহ খৰ্ব্ব হইতে আরম্ভ হয়, এবং উক্ত শতাব্দীর মধ্য ভাগে রাণী-ভবানী ও রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় তাহাকে অতিক্রম করিয়া শক্তিমাহাত্মাই বঙ্গে প্রাধান্ত লাভ ও বাঙ্গালা সাহিত্যের সৰ্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করে। আমরা যথা স্থানে তাহার আলোচনা করিব। এক্ষণে আমরা অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের দুই জন বৈষ্ণব গ্রন্থকর্তা ও পদকর্তার উল্লেখ করিতেছি। তাহারা কেবল গ্রন্থকর্তা বা পদকৰ্ত্ত বলিয়া খ্যাতি লাভ করেন নাই, অন্তান্ত গুণেও তাহারা বৈষ্ণব সমাজে আদৃত হইয়া দেশমধ্যে স্ববিখ্যাত হইয়াছিলেন । । . . . . .