পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৭৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぐが○b" মুর্শিদাবাদের ইতিহাস। র্তাহার শিষ্য গোকুলাননা সেন বা বৈষ্ণবদাস পদাম্তসমুদ্রকে অস্তভুক্ত করিয়া তাহার প্রসিদ্ধ বৃহৎ গ্রন্থ পদকল্পতরুর প্রচার করেন। আমরা নরহরি ও রাধামোহনের জীবনী ও রচনা হইতে দেখাইলাম যে, অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগেও বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম বঙ্গদেশে ও বঙ্গসাহিত্যে আপনার অধিকার পরিত্যাগ করে নাই। কিন্তু দেশমধ্যে তাহ যেরূপ প্রবল ছিল, বঙ্গসাহিত্যের স্থান অধিকার করিলেও অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের অন্তান্ত কবিগণের রচনার তুলনায় তাহাদের স্থান তত উচ্চ ছিল মা এবং উক্ত শতাব্দীর মধ্য ভাগে শক্তিমাহাত্মাই বঙ্গসাহিত্যের সৰ্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করিয়া বসে। আমরা অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বঙ্গসাহিত্যের অবস্থা সংস্কৃত ও ফারসীয় বর্ণনা করিলাম। কিন্তু সে সময়ে বঙ্গদেশে আলোচনা। সংস্কৃতচর্চাও পূর্ণ মাত্রায় বিরাজিত ছিল। রঘুনাথ শিরোমণি ও রঘুনন্দন ভট্টাচাৰ্য যে স্তায়শাস্ত্রের ও স্মৃতিশাস্ত্রের প্রচলন করিয়াছিলেন, বঙ্গদেশে দিন দিন তাহার আলোচনা প্রসারিত হইতেছিল। ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে মথুরানাথ তর্কবাগীশ, জগদীশ তর্কালঙ্কার ও গদাধর ভট্টাচাৰ্য্য প্রভৃতি আবিভূত হইয়া স্ব স্ব বিস্তৃত টীকার দ্বারা রঘুনাথের মত প্রচার করিয়া বান। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে নবদ্বীপ, বিক্রমপুর প্রভৃতি বাঙ্গলার অনেক স্থানে সেই ভারশাস্ত্রের বিশেষ রূপ আলোচনা হইত। রঘুনন্দনের স্থতির মত ক্রমে সমস্ত বঙ্গদেশে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। ও তন্ত্র আলোচনার যে পথ প্রশস্ত করিয়া যান, অনেকে তাহাতেও বিচরণ করিতেন। সপ্তদশ শঙ্খীর শেষ ও অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে গুপ্তিপাড়ার প্রসিদ্ধ খুরেশ প্রভৃতিকে আমরা উক্ত