পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৭৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অধ্যায় । Nevరిఫ్రి মতের পক্ষপাতী দেখিতে পাই। মথুরেশ শ্যামাকল্পলতিকা নামে গ্রন্থ রচনা করিয়া খ্যাতি লাভ করিয়াছিলেন। বৈষ্ণব পণ্ডিতগণও ভাগবতাদি ভক্তিশাস্ত্রে ও গোস্বামিগণের রচিত ও সঙ্কলিত গ্রন্থাদির অনুশীলনেও ক্ষান্ত ছিলেন না। তদ্ভিন্ন অনেক ব্রাহ্মণসস্তান ব্যাকরণ, কাবা, অলঙ্কার প্রভৃতি অধ্যয়ন করিয়া রীতিমত সংস্কৃত ভাষার আলোচনা করিতেন। তৎকালে বাঙ্গলার অনেক গ্রামে চতুষ্পাঠী ছিল, তাহতে রীতিমত অধ্যাপনা হইত। বঙ্গদেশের রাজামহারাজশণও সংস্কৃতের আদর ও কেহ কেহ সংস্কৃত অধ্যয়নও করিতেন । সংস্কৃতের আলোচনা ব্যতীত তৎকালে ফারসী ও উর্দ ভাষারও আলোচনা ছিল। সন্ত্রান্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সন্তানগণ রীতিমত ফারসী ও উর্দু শিক্ষা করিতেন। কারণ, তখন তাহার রাজভাষা ছিল"। রাজভাষা না শিখিলে সে সময়ে কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ হওয়া দুষ্কর হইত। এই রূপে বাঙ্গলা ভাষার চর্চার সহিত বঙ্গদেশে সংস্কৃত, ফারসী ও উর্দু ভাষারও বিশেষ রূপ আলোচনা হইত, এবং বঙ্গসাহিত্যেও সে আলোচনার যথেষ্ট প্রমাণ দৃষ্ট হইয়া থাকে। বঙ্গদেশের স্তায় বিহার ও উড়িষ্যায় সংস্কৃত ও ফারসীর সহিত হিনী ও উড়িয়া ভাষা ও সাহিত্যের যথেষ্ট উড়িয়া আলোচনা ছিল। মিথিলা চিরদিনই সংস্কৃতচর্চার সাহিতা । স্থান বলিয়া প্রসিদ্ধ। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে বিহারে হিন্দী ভাষার কোন প্রসিদ্ধ গ্রন্থকারের পরিচয় পাওয়া যায় না। কিন্তু উড়িষ্যায় তৎকালে অনেক গ্রন্থকার বিদ্যমান ছিলেন। আমরা নিয়ে র্তাহাদের রচিত গ্রন্থাদির সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করিতেছি। রাধাস্বাক লীলায়িক জ্ঞান গ্রন্থের রচয়িত ভক্তচরণ কৰি ; কপটপশা, ভারতসাবিত্রী প্রভৃতি মহাভারভোক্ত বিষয়ের গ্রন্থকার