পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৭৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অধ্যায় । \ყ8×) বাঙ্গালীদিগকে সৰ্ব্বোচ্চ পদ পৰ্য্যন্ত প্রদান করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। যে জমীদারদিগকে মুর্শিদকুলী খাঁ প্রথমে উৎপীড়ন করিয়াছিলেন, র্তাহার রাজত্বের শেষ ভাগে তিনি তাহাদিগকে স্ব স্ব জমীদারীতে স্থায়ী করিতে চেষ্ট করেন। মুজা উদ্দীন তাহ সম্পূর্ণ রূপে সম্পন্ন করিয়াছিলেন, এবং আলিবর্দীর সময় বাঙ্গালী রাজপুরুষের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান করদ রাজ্যের রাজগণের স্তায় বাঙ্গলার প্রধান প্রধান জমীদারেরও দেশের মধ্যে প্রাধান্ত বিস্তার করিয়া গিয়াছেন। রাণী ভবানী ও কৃষ্ণচন্ত্রের কথা কে না অবগত আছে? কিন্তু এই সময় হইতে অধিক পরিমাণে আবওয়াব প্রচলিত হওয়ায় জমীদার ও প্রজারা কিছু অতিরিক্ত কর্ভারে প্রপীড়িত হইতে আরব্ধ হয়। রাজস্ববন্দোবস্তের সঙ্গে সঙ্গে অষ্টাদশ শতাব্দীতে শাসন ও বিচারের সংশোধন হয়, ভিন্ন ভিন্ন চাকলায় ফৌজদার, থানাদার নিযুক্ত হইয়া শাসনকার্য্যে ও নিজামত, দেওয়ানী ও কাজী আদালতের বিচারকগণ বিচার কার্য্যে বিশেষ রূপ মনোযোগ প্রদান করিতেন । মুর্শিদকুলী ও মুজা উদ্দীন উভয়েই সুবিচারক বলিয়া বিখ্যাত ছিলেন। জমীদারগণের হস্তেও কোন কোন বিচারের ভার অর্পিত ছিল। নবাব মুর্শিদকুলী খাঁর সময়ে দস্থ্য,চোর প্রভৃতির দমনের জন্ত বিশেষ রূপ বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হইয়াছিল, জমীদারেরাও তাছার ভার গ্রহণ করিতেন। রাজ্য মধ্যে দুর্ভিক্ষ দূর করার জন্ত বিশেষ রূপ চেষ্টা কর হইত, এবং শস্তাদি স্থলভ মূল্যে বিক্রয় করার গুপ্ত আইনও প্রচলিত হইয়াছিল। দ্রব্যাদি সুলভ হওয়ায় তৎকালে সাধারণ লোকের কিরূপ অবস্থা ছিল তাহ আমরা পরে উল্লেখ করিতেছি। নবাবের মুসলমান ধৰ্ম্মাবলম্বী হইলেও হিন্দুদিগের ধর্শ্বে কোনরূপ হস্তক্ষেপ করিতেন না, এবং নবাব মুজা উদ্দীনের স্থায় নবাবকেও আমরা হিন্দুদিগের হোলি