পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৭৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\პა8ხ2 মুর্শিদাবাদের ইতিহাস । ফল মূল ভোগ হওয়ার উল্লেখ আছে। স্বরাসিত জল ও কপূরাদিসহ তাম্বলও দেবতাকে দেওয়ার রীতি ছিল। বৈষ্ণবেরা একাদশী দিবসে অন্নব্যঞ্জন গ্রহণ করিতেন না । দেবতার প্রসাদাদি বিতরণ - হইত। মঙ্গলক্রিয়াউপলক্ষে ব্রাহ্মণদিগকে বিদায় করার রীতি ছিল । তৎকালে শাক্ত ও বৈষ্ণবগণের মধ্যে বিবাদ হইত। মধ্যে শাক্তগণের প্রভাব কিছু খৰ্ব্ব হইয়াছিল, কিন্তু ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, বৈদ্য প্রভৃতি উচ্চ শ্রেণার জাতির অনেকে চিরদিনই শাক্ত ছিলেন, এবং ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের মধ্যে অধিকাংশ শাক্ত হওয়ায়, বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম শাক্ত মতকে একেবারে অভিভূত করিতে পারে নাই। কিন্তু সাধারণ লোকে বৈষ্ণব হওয়ায় দেশ মধ্যে বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম অত্যন্ত বিস্তৃত হইয়া পড়ে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ হইতে আবার শাক্ত ধৰ্ম্মও প্রবল হইতে আরব্ধ হয় । শাক্তদিগের মধ্যে রঘুনন্দনাদির ব্যবস্থসন্মত বিশুদ্ধ শাক্ত মত ও মিশ্র তান্ত্রিক মত উভয়েই প্রচলিত ছিল । দেশমধ্যে রঘুনন্দনের স্মৃতির একাধিপত্য দেখা যাইত। বৈষ্ণবগণের স্থতি রঘুনন্দনের স্মৃতি হইতে কোন কোন বিষয়ে পৃথক ছিল। কিন্তু বৈষ্ণবেরা আপনাদের সম্প্রদায়ানুমোদিত স্মৃতির উপর নির্ভর করিলেও একেবারে রঘুনন্দনের স্মৃতিকে অবহেলা করিতে পারিতেন ন, এবং বৈষ্ণব গোস্বামিগণের সংখ্যা অপেক্ষ ব্রাহ্মণপণ্ডিতগণের সংখ্যা অনেক অধিক হওয়ায়, রঘুনন্দনের মতই বঙ্গে প্রবল হইয়া উঠে। রামায়ণ, চণ্ডী, শিবায়ন, ধৰ্ম্মমঙ্গল এই সমস্ত গীত হইত। বৈষ্ণবগণের সঙ্কীর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভাগবতাদির পাঠ ও ব্যাখ্যা হইতে দেখা যায়। বৈষ্ণবের তুলসী চন্দন দিয়া ভাগবতের পূজা করিতেন। সত্যনারায়ণের পূজা ও কথা অত্যন্ত প্রচলিত ছিল। সকলে আগ্ৰহসহকারে সত্যনারায়ণুের কথা শুনিত ও প্রসাদ গ্রহণ করিত। সত্য