পাতা:মুর্শিদাবাদের ইতিহাস-প্রথম খণ্ড.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় । ' ' やい● দাতাকর্ণের আবাস স্থান ছিল বলিয়া প্রবাদ প্রচলিত আছে । কৰ্ণ যে অঙ্গদেশাধিপতি ছিলেন, তাহা মহাভারতপাঠকমাত্রেই অবগত আছেন । সুতরাং উক্ত প্রবাদ হইতেও প্রতিপন্ন হয় যে, পশ্চিম মুর্শিদাবাদ অঙ্গরাজ্যের অন্তর্গত ছিল। এই অঙ্গ, বঙ্গ বিভাগের পর ভাগীরথীর পশ্চিম ও পূৰ্ব্ব তীরবর্তী প্রদেশ গৌড় ও বঙ্গ নামে প্রসিদ্ধ হইয়া উঠে, এবং গৌড় ও বঙ্গ উভয়েই সাধারণতঃ গৌড়দেশ নামে অভিহিত হইত।* কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে গৌড় ও বঙ্গ ছুইটী স্বতন্ত্র বিভাগ ছিল। শক্তিসঙ্গম তন্ত্রে সমুদ্র হইতে ব্ৰহ্মপুত্র পর্য্যন্ত বঙ্গের, ও বঙ্গ হইতে ভুবনেশ্বর পর্য্যন্ত গৌড়ের সীমা নির্দিষ্ট হইয়াছে। + ইহাতে বুঝা যায় যে, গৌড় অনেক পরিমাণে প্রাচীন অঙ্গ ও পুণ্ডের স্থান অধিকার করিয়াছিল । বর্তমান ভাগীরথীংগ্ৰবাহ বঙ্গ ও গৌড়ের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইতেন। গৌড় ও বঙ্গ যে দুইটা

  • ভারতে অনেক গৌড় ছিল বলিয়া অবগত হওয়া যায়। পঞ্চগৌড় একটা প্রসিদ্ধ কথা । স্কন্দপুরাণীয় সহাদ্রিখণ্ডে পঞ্চগৌড় ব্রাহ্মণের কথা এই রূপ লিখিত আছে—“স্বারস্বতাঃ কান্তকুজা উৎকলামৈথিলাশ্চ বে। গোঁড়াশ্চ পঞ্চধা চৈব পঞ্চগৌড়া: প্রকীৰ্ত্তিতাঃ।” ইহাদের মধ্যে বঙ্গের নিকটস্থ গৌড়ই প্রসিদ্ধ, এবং সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন। পাণিনির “অরিষ্টগৌড় পুৰ্ব্বে চ” ইত্যাদি ক্ষত্রের দ্বার। তাহার প্রমাণ হয়, গৌড় ও বঙ্গ এককালে সাধারণতঃ গৌড়দেশ নামে অভিহিত হইত।

+ “রত্নাকরং সমারভ্য ব্ৰহ্মপুত্রাস্তগং শিৰে । বঙ্গদেশোময়ী প্রোক্তঃ সৰ্ব্বসিদ্ধিপ্রদর্শকঃ ॥ বঙ্গদেশ সমারভ্য ভুবনেশাস্তগং শিবে। গৌড়দেশঃ সমাখ্যাতঃ সৰ্ব্বশাস্ত্রবিশারদঃ ॥” শক্তিসঙ্গমতন্ত্র । ৭ পটল ।