তা কেউ বুঝতে নারে,
তা কেউ বুঝতে নারে, বাবাে কারে মগ্ন করে ভয়,
পেচকাণ্ডায়[১] জোনাবালি তারা পিছে কয়।
সিপাই সব গুপ্তে আছে,
সিপাই সব গুপ্তে আছে ঘেড়ের মাঝে বন্দীখানার পরে,
লুটেছে নবাবের মুলুক দাগাবাজী করে।
জবরের ভেড়া দাগা,
জবরের ভেড়া দাগা বাগী ভেড়া, পলাশীর ময়দানে,
পাট ভরে দাগলে গােলা ফিরিঙ্গি না জানে।
মাের তার উপর পানে,
মােরা তার উপর পানে, গােলা খানি বৃক্ষের উপরে,
চাকর হয়ে মুনিব মারে মারে তলওয়ার ছেড়ে।
হায় হায় বিধির ফেরে,
হায় হায় বিধির ফেরে বলবাে কিরে কাদছে নবাব আলি,
বাইশ শ ফৌজ থাকতে আমার, জবরে সুটালি।
কিন্তু বুঝব তােরে,
কিন্তু বুঝবাে তােরে তারাকপুরে[২] করবে গুলি খাড়া,
বাম হলাে বিধাতা বুঝি নবাব গেল মারা।[৩]
সাহেবের উদি বাজে, সাহেবের উদি বাজে নিশান উড়ে বহরমপুরের গড়ে,
বাঙ্গলাতে মরদ নাই ফিরিঙ্গিতে আমল করে।
লুটিল চাটগাঁয়ের বাজার আনাড়ি মরদ মেরে,
তা ভাইরে ভাই পলায়ে যাই কলিকাতার ভিতরে
টাকা কড়ি নেয় না তারা মানুষ মেরে ফেলে[৪]
তাদের ভাই দাসুকে।
- ↑ পশ্চাতে।
- ↑ তারাকপুরে নবাবনিগের সৈন্যদিবাস ছিল, সহররক্ষার জন্য সৈন্যসকল তারাকপুর ও আমানিগঞ্জে অবস্থিতি করিত। তারাকপুর বহরমপুরের পূর্বে ও আমানিগঞ্জ লালবাগের দক্ষিণ।
- ↑ এই কয়েক চরণ যেন সিরাজ সম্বন্ধে বলা হইয়াছে বলিয়া বােধ হয়।
- ↑ তৎকালে সাধারণের কোম্পানীর অত্যাচারে কেমন ভয় হইত, এই চরণ হইতে তাহা বেশ বুঝা যায়।